বীরুর থেকে আফ্রিদিকে এগিয়ে রাখলেন আক্রম। —ফাইল চিত্র।
বীরেন্দ্র সহবাগ নন, টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনারদের মানসিকতাই বদলে দিয়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রমের দাবি এমনটাই।
ওপেন করতে নেমে বিস্ফোরক সব ইনিংস খেলতেন সহবাগ। প্রথম বল থেকেই বোলারদের আক্রমণের রাস্তা নিতেন তিনি। কিন্তু বীরুর থেকে আফ্রিদিকে এগিয়ে রেখে আক্রম বলছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেট সহবাগ এসেছে পরে। ১৯৯৯-২০০০ সালে ওপেনারদের মানসিকতা বদলে দিয়েছিল আফ্রিদি। বোলাররা হয়তো জানত আফ্রিদিকে আউট করা যাবে। আবার এটাও বোলাররা জানত আফ্রিদি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারে। লুজ বল পেলে নিজের ইচ্ছামতো ছক্কা হাঁকাতে দক্ষ ছিল আফ্রিদি।’’
১৯৯৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল আফ্রিদির। দারুণ প্রতিভাবান হলেও ভুল শট নির্বাচন করে উইকেট ছুড়ে দিতেন আফ্রিদি। তার জন্য সমালোচনার শিকার হতে হত আফ্রিদিকে।১৯৯৯-২০০০ সালের ভারত সফরে আক্রম প্রায় জোর করেই আফ্রিদিকে দলে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পিছিয়েই গেল টোকিয়ো অলিম্পিক্স, শুরু পরের বছরের ২৩ জুলাই
পাকিস্তানের কয়েকজন নির্বাচক সেই সময়ে আফ্রিদিকে দলেই নিতে চাননি। কিন্তু আক্রম নির্বাচকদের বিরুদ্ধে গিয়েই আফ্রিদিকে দলে নিয়েছিলেন। কীভাবে সম্ভব হয়েছিল তা? আক্রম বলেন, ‘‘সেই সফরের দল নির্বাচন করার আগে ইমরান খানকে ফোন করে বলেছিলাম, শাহিদ আফ্রিদিকে দলে নিতে চাই। ইমরান বলেছিল, তুমি অবশ্যই ওকে নেবে। আফ্রিদিকে ওপেন করতে পাঠাবে। ও একটা-দুটো টেস্ট ম্যাচ জেতাবে।’’
আরও পড়ুন: ‘আমার কেরিয়ার কখনই থিতু হয়নি’
ভারত সফরে এসে আফ্রিদি প্রমাণ করেছিলেন আক্রমই ঠিক ছিলেন। চিপকের প্রথম টেস্টে ১৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আফ্রিদি। সে বারের সিরিজ ২-১ জিতে নিয়েছিল পাকিস্তান। পুরনো স্মৃতিরোমন্থন করে আক্রম বলেন, ‘‘চেন্নাইয়ের পিচে কী দুরন্ত ইনিংসটাই না খেলেছিল আফ্রিদি। ক্রিজ ছেডে় বেরিয়ে এসে কুম্বলে-জোশীকে ছক্কা হাঁকিয়েছিল।’’