ঐতিহাসিক: স্মরণীয় সেই বিশ্বকাপ জয়ের রাত। সচিন-ধোনিদের সেই মাঠেই এ বার করোনা শিবির। ফাইল চিত্র
মুম্বইয়ের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দেশে কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিণত হচ্ছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। শুক্রবারই মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে কোয়রান্টিন সেন্টারের জন্য ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। বিশ্বের বিভিন্ন স্টেডিয়াম ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে কোয়রান্টিন সেন্টারে। ভারতে ওয়াংখেড়েই প্রথম স্টেডিয়াম, যা পরিণত হতে চলেছে নিভৃতবাসের আস্তানা হিসেবে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, সচিন তেন্ডুলকরদের বিশ্বকাপ জয়ের সেই রাত এখনও ভোলেননি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২০১১-র ২ এপ্রিল রাতে বিশ্বকাপ জয়ের পরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইউসুফ পাঠান, হরভজন সিংহদের কাঁধে চড়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন সচিন। সেই ঐতিহাসিক মাঠ এখন পরিণত হচ্ছে কোয়রান্টিন সেন্টারে।
মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ার কারণে এই অতিমারিকে কী ভাবে রোখা যায়, তা এখনও জানা নেই। বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ সামলাতে প্রয়োজন নিভৃতবাস। কিন্তু সেই স্থানও কমে আসছে ক্রমশ। শুক্রবার এমসিএ-কে চিঠি দিয়ে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দেশ, “ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে, ওয়াংখেড়ের ক্যাম্পাসে যে সমস্ত হোটেল, লজ, ক্লাব, এগজ়িবিশন সেন্টার, ক্লাব, ডর্মিটরি ইত্যাদি রয়েছে, তা তুলে দেওয়া হোক রাজ্য সরকারের হাতে।”
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে যদিও স্বেচ্ছায় দান করা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় পারিশ্রমিক দিয়েই চাওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি বিজড়িত এই স্টেডিয়ামকে। কিন্তু যদি এই নির্দেশ এমসিএ অমান্য করে, সে ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে। বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, “ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিণত করার পারিশ্রমিক সময় মতো তুলে দেওয়া হবে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে। কিন্তু এই নির্দেশ অমান্য করলে, ১৮৮ ধারায় শাস্তি হতে পারে। রাজ্যের এই সঙ্কটে তাদের পাশে থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।”
ভারতে করোনা সংক্রমণের মাত্রা কমছে না। তাই দ্রুত ক্রিকেট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। ঐতিহাসিক এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে তাই কোয়রান্টিন সেন্টার গড়ে তোলার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত স্থায়ী নয়। সংক্রমণের মাত্রা কমলেই ওয়াংখেড়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে। এমসিএ সচিব সঞ্জয় নায়েক বলেছেন, “আমরা আজই আবেদনপত্র পেয়েছি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রত্যেক পদক্ষেপে সহযোগিতা করবে এমসিএ।”