সমর্থন: আসন্ন সিরিজেও ঋষভের দক্ষতায় আস্থা লক্ষ্মণের। ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। সেই ঋষভ পন্থে মুগ্ধ ভিভিএস লক্ষ্মণ। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান মনে করেন, উইকেটে কিছুটা সময় থেকে গেলে বিপক্ষ অধিনায়কের উপরে চাপ বাড়িয়ে দেন ঋষভ। লক্ষ্মণের আরও ধারণা, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিনিশারের ভূমিকা নিতে পারেন ঋষভই।
সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেল, স্টার স্পোর্টসের একটি অনুষ্ঠানে লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বড় মঞ্চ হতে চলেছে ঋষভের জন্য।’’ অস্ট্রেলিয়া সফরে সীমিত ওভারের সিরিজে দলে রাখা হয়নি ঋষভকে। কিন্তু প্রথমে টিম পেনের অস্ট্রেলিয়া এবং পরে জো রুটের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে দুরন্ত ব্যাট করে আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। লক্ষ্মণ মনে করেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঋষভকে ফিরিয়ে এনে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচকরা। দুরন্ত ছন্দে থাকা ঋষভের মধ্যে নতুন এক ‘ফিনিশার’-কেও খুঁজে পেলেন লক্ষ্মণ। যে শুরু থেকেই বোলারদের শাসন করে ম্যাচ শেষ করে দিয়ে আসতে পারবে। লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘‘ঋষভ আসা মানে, ভারতীয় দলে ফিনিশারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া।’’ আমদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ১২ মার্চ।
লক্ষ্মণ আরও বলেছেন, ‘‘গত এক-দেড় বছরে ফিনিশার হিসেবে আমরা হার্দিক পাণ্ড্যর উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম। সাত নম্বরে রবীন্দ্র জাডেজা ছিল ঠিকই, কিন্তু ও বড় ইনিংস খেলত না। ঝোড়ো ছোট ইনিংস খেলে চলে যেত। প্রথম বল থেকে বড় শট খেলার মতো ব্যাটসম্যান ভারতীয় দলে এক জনই ছিল। সেটা হার্দিক।’’ লক্ষ্মণের মতে, ঋষভের অন্তর্ভুক্তি দলে ফিনিশার এবং ম্যাচ উইনারের সংখ্যা বাড়াবে। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যানের কথায়, ‘‘টেস্ট ম্যাচে যে পরিণতবোধের সঙ্গে ঋষভ ব্যাট করেছে, তাতে পরিষ্কার, ও ম্যাচ জিতিয়ে আসার ক্ষমতা রাখে। ঋষভের মধ্যে আমরা এক ম্যাচ উইনারকেই পাব। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ওকে চাপের মুখে ম্যাচ জেতাতে দেখেছি আমরা।’’
লক্ষ্মণ শুধু একটা জিনিস চান না। সেটা কী? ‘‘আশা করব, দু’একটা ইনিংসে খারাপ খেললেই ঋষভকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে না। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আমরা যদি এগোই, তা হলে ঋষভকে বেশি করে সুযোগ দেওয়া উচিত। ও যদি নির্ভয়ে ব্যাট করে, তা হলে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিয়ে আসতে পারবে,’’ বলেছেন তিনি। যোগ করেন, ‘‘বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান দলে থাকার একটা সুবিধে আছে। আর ঋষভ হল এমন ক্রিকেটার, যে কিছু সময় থেকে গেলেই বিপক্ষ অধিনায়ক চাপে পড়ে যাবে।’’
লক্ষ্মণের মুখে শোনা গিয়েছে এক নবাগত ক্রিকেটারের কথাও। তিনি সূর্যকুমার যাদব। দীর্ঘদিন ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে দাপিয়ে খেলার পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন মুম্বইয়ের সূর্যকুমার। লক্ষ্মণের কথায়, ‘‘নিজের দক্ষতাতেই দলে সুযোগ পেয়েছে সূর্য। ও যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের কাছে আদর্শ হতে পারে। বিশেষ করে ভারতে।’’ কেন বলছেন এ কথা? লক্ষ্মণের ব্যাখ্যা, ‘‘ভারতে প্রচুর প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভাল খেলছে। কিন্তু সবার পক্ষে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। আর সূর্য কী করেছে? সুযোগ না পাওয়ার পরেও মুম্বই আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে রান করে গিয়েছে। যার ফলটা ও পেল।’’