জাহির খানের ব্যাটিংয়ের হাত ভাল করার দায়িত্ব পড়েছিল লক্ষ্মণের উপরে।
জন রাইট কোচ থাকার সময়ে ভারতের টেল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ের হাত ভাল হয়। এর জন্য ‘ভেরি ভেরি স্পেশাল’ লক্ষ্মণ কৃতিত্ব দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ভারতের প্রাক্তন কোচ জন রাইটকে।
রাইট ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জুটি ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেকটাই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর সময়েই জাহির খান, অনিল কুম্বলে, হরভজন সিংহদেরও ব্যাটিংয়ের হাত ভাল হয়। ২০০১ সালের সেই বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শেষ টেস্টে ভাজ্জি জিতিয়েছিলেন ভারতকে। জিম্বাবোয়ের হেনরি ওলোঙ্গাকে চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জাহির খান।
রাইটের হাতে পড়ে কী ভাবে বদলে গেলেন ভারতীয় টেলএন্ডাররা? লক্ষ্ণণ সেই রহস্য ফাঁস করে বলছেন, ‘‘জন রাইটকে এর জন্য কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। আমি রাইটকে বুঝিয়েছিলাম, আমাদের বোলাররাও ভাল ব্যাটিং করার জন্য গর্ববোধ করতে পারে।’’ অনিল কুম্বলে, জাহির খান, হরভজন সিংহের মতো ম্যাচ উইনারদের ব্যাটিংয়ের হাতও ভাল হয়ে গিয়েছিল রাইট-জমানায়।
আরও পড়ুন: ধোনি অবসর নিলে ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি হবে, বলছেন কপিল
লক্ষ্ণণ বলছেন, ‘‘জন বলে দিয়েছিল দলের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিং কোচ হতে হবে। বোলারদের ব্যাটিং প্র্যাকটিস করাতে হবে।’’ লক্ষ্ণণ পড়েছিলেন জাহিরকে নিয়ে। তিনি বলছেন, ‘‘প্রতিটি নেট সেশনের পরে আমরা বোলারদের নিয়ে পড়তাম। ওদের থ্রো ডাউন করাতাম, যাতে বোলারদের ব্যাটিংয়ের হাতও ভাল হয়। পরিবারের মতো ছিলাম আমরা। আর এটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’’ দলের তারকা ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে টেল এন্ডারদের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গিয়েছিল। লক্ষ্ণণ বলছেন, ‘‘দারুণ শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খুচরো রান নিয়ে ওদের স্ট্রাইক দিতাম আমি। ভাল বোলারদের সামলে দিতে পারলে ওদের ভিতরেও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যেত। ওদের উৎসাহ দিয়ে বলতাম, তোমরাও রান করতে পারবে। তোমাদের মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে।’’ ইগো সরিয়ে একটা পরিবার হয়ে ওঠার জন্য রাইটের সময়ে ভারতীয় দল একটা শক্তি হয়ে উঠেছিল বিশ্বক্রিকেটে।
আরও পড়ুন: শুভার্থীদের সাহায্য ছিল অসচ্ছল সংসারে, সীমিত কেরিয়ারের পরে রাজনীতিতে পা রাখেন এই বিস্মৃত বোলার