কোহালিতে মুগ্ধ ভিভ।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মহারণে নামার কয়েক ঘণ্টা আগেই এক কিংবদন্তির সর্বোচ্চ প্রশংসা পেয়ে গেলেন বিরাট কোহালি। কে সেই কিংবদন্তি? না, স্যার আইজ্যাক ভিভিয়ান আলেকজান্ডার রিচার্ডস।
আগেও কোহালির প্রশংসা করেছেন ভিভ। বলেছেন, তিনিও বিরাটের ব্যাটিংয়ের ভক্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এ বার যা বললেন, আগের সমস্ত মন্তব্যকে ছাপিয়ে যেতে পারে। পাকিস্তান সুপার লিগের সঙ্গে মেন্টর হিসাবে যুক্ত ক্যারিবিয়ান কিংগ। তাই তিনি এখন দুবাইয়ে। মরুশহরে মঙ্গলবার রাতে একটি টক শো-তে অংশ নেন তিনি। কার্যত ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে খুবই বাছাই করা বিভিন্ন জগতের শ্রোতারা ছিলেন।
সেখানে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, বিরাট কি ভিভের মতো ব্যাট করতে পারবেন? ভিভ বলেন, ‘‘বিরাট আন্তর্জাতিক মঞ্চকে শাসন করতে এসে গিয়েছে। এটা আর আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রত্যেকেই তো দেখতে পাচ্ছে, ছেলেটা কী অসাধারণ ফর্মে খেলে চলেছে।’’
এখানেই না থেমে বিরাটের আগ্রাসী মনোভাব নিয়েও মন্তব্য করেন কিংগ রিচার্ডস। নিজের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘‘বিরাটের একটা আগ্রাসী মনোভাব আছে। ও কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। এই কারণে অনেকে ওর সমালোচনা করে, ওকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। আমি যখন খেলতাম, তখন আমাকে নিয়েও বলা হতো, অন্যদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করি। আমি উদ্ধত। চোখ রাঙানোর চেষ্টা করি।’’
বিরাটের কি তাহলে নিজেকে পাল্টানো দরকার? একেবারেই মানেন না ভিভ। বলে দেন, ‘‘আমাকে ডাকাবুকো এই মনোভাবটা দেখাতে হতো, উদ্ধত আচরণটা বার করতে হতো প্রতিপক্ষকে সামলানোর জন্য। না হলে ওরাই আমার ঘাড়ের ওপর চেপে বসত।’’ তার পরেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরুর আগে বিরাটের জন্য টোটকা, ‘‘অস্ট্রেলীয়রা খুবই কদর্য হতে পারে। খুবই নোংরামি করে। ওদের সঙ্গে তাই ডাকাবুকো, উদ্ধত আচরণই দেখানো উচিত। বিরাট যা করছে ঠিকই করছে।’’
আরও পড়ুন:
ওয়ার্নের সেই অস্ট্রেলিয়া কোথায়, লায়নকে ৩০ উইকেট নিতে হবে
আবেগের সন্ধ্যায় দুবাইয়ের একটি জাদুঘরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রথম খেলার সময়কার ব্লেজারটি দিয়ে গেলেন ভিভ। যে উদারতা দেখে উপস্থিত অনেকে স্তম্ভিত হয়ে যান। কিন্তু ভিভের আরও বড় উপহার তোলা ছিল বিরাটের জন্য। ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিভা আসে লিট্ল প্যাকেজে। সানি, সচিন, এখন বিরাট।’’ কিংবদন্তি ভিভ ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সর্বোচ্চ গ্রহে তাঁকে স্থান দিচ্ছেন। নতুন সিরিজ শুরুর আগে এর চেয়ে বড় প্রশংসা আর কী পেতে পারেন ভারত অধিনায়ক!
ভিভ অবশ্য উপস্থিত শ্রোতাদের বিস্মিত করে দিয়ে আরও বলে গেলেন, তাঁদের জমানাতেও টি-টোয়েন্টি খেলা ছিল। ‘‘নামটা ছিল না। টি-টোয়েন্টি বলা হতো না। কিন্তু আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলত, কে কত বলে কত ঠ্যাঙাতে পারে।’’ স্বর্ণযুগের ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ড খুললেই বোঝা যাবে ভিভ কী বলতে চাইছেন! ভাগ্যবান বোলারের দল। এই টি-টোয়েন্টির রমরমার যুগে ভিভ রিচার্ডস নামেই কাউকে বল করতে হল না!