Mountaineering

দৃষ্টিহীন এবং বিশেষভাবে সক্ষম ৪ যুবকের শৃঙ্গ জয়ের নজির

বেহালা সখেরবাজারে ওই সংস্থার অফিস। সেখানে গরিব, অনাথ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয় বলে জানান শৈবালবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৪
Share:

শৃঙ্গ জয়ের নজির গড়লেন এঁরা। —নিজস্ব চিত্র।

শৃঙ্গ জয়ের অনন্য নজির গড়ল বিশেষ ভাবে সক্ষম এবং দৃষ্টিহীন পর্বত আরোহী চার যুবক। গত ২১ সেপ্টেম্বর রুদ্রগয়রা (১৯হাজার ৯০ ফুট) পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন ওই চারজন। বেহালার সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভয়েস অব ওয়ার্ল্ড’-এর উদ্যোগে ১৭ সেপ্টেম্বর গঙ্গোত্রী থেকে ১৪ জন যাত্রা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ৬ জন পৌঁছন রুদ্রগয়রার শিখরে। দু’জন সাহায্যকারী পর্বত আরোহী অবশ্যে তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন।

Advertisement

সংগঠনের তরফে শৈবাল গুহ জানান, “ওঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ থেকে ২২-এর মধ্যে। শুভেন্দু মাজি দৃষ্টিহীন, বাসুদেব ভাল্লা এবং সুকদেব ভাল্লা আংশিক দৃষ্টিহীন, উজ্জ্বল ঘোষ বিশেষ ভাবে সক্ষম। ওঁদের সাহায্য করেছেন পর্বতারোহী দেবস্মিতা রায় এবং তারক সর্দার।” তিনি আরও বলেন,“পর্বতারোহনে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের সাহায্য মিলেছে। ওঁরা অ্যাডভান্স বেস ক্যাম্পপর্যন্ত সাহায্যও করেন। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পর্বতারোহীরাও।’’

বেহালা সখেরবাজারে ওই সংস্থার অফিস। সেখানে গরিব, অনাথ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয় বলে জানান শৈবালবাবু। তিনি জানান, ভয়েস অব ওয়ার্ল্ড-এর পথ চলা শুরু ১৯৯২ সালে।প্রতি বছরই ভয়েস অব ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের নিয়ে শৃঙ্গ জয়ের চেষ্টা চালানো হয়। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। শৈবালবাবু বলেন, ‘‘এ বার তিনটে গ্রুপে ৯২ জন ছিলেন। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে সক্ষম ৫৫ জন। ১০ জন প্রান্তিক অনাথ। একটি দল গঙ্গোত্রী এবং উত্তরকাশীতে ছিল। ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সী একটি দল ছিল উত্তরকাশীতে ৮ হাজার ফুট উচ্চতায়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বেআইনি, রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর মন্তব্য নিয়ে বেজিংকে পাল্টা দিল্লির​

আরও পড়ুন: বাগবাজার ঘাটে ‘শহিদ’ তর্পণ নাড্ডার, জঙ্গলরাজ-সরকারি সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement