অকপট: নির্বাচক হওয়ার ইচ্ছে নেই সহবাগের। পিটিআই
ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ক্ষমতাই নির্বাচকদের চেয়ারম্যান পদে আদর্শ প্রার্থী করে তুলেছে অনিল কুম্বলেকে। বললেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ।
এম এস কে প্রসাদের নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচক দলের সব মিলিয়ে ১৩টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যে নিয়ে প্রবল সমলোচনাও হয়েছে। ‘‘নির্বাচক প্রধান পদে আমার মতে অনিল কুম্বলেই ঠিক প্রার্থী। ও এমন এক জন, যে ক্রিকেটার হিসেবে সচিন (তেন্ডুলকর), সৌরভ (গঙ্গোপাধ্যায়) ও রাহুল (দ্রাবিড়)-এর সঙ্গে খেলেছে। আবার তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গেও মিশেছে কোচ হিসেবে,’’ নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন সহবাগ। যোগ করেন, ‘‘যখন আমি দলে প্রত্যাবর্তন করলাম (২০০৭-’০৮ অস্ট্রেলিয়া সিরিজ), অধিনায়ক কুম্বলে একদিন এসে বলল, তোমায় এর পরের দুটো সিরিজেও দলে রাখা হবে। এমন আত্মবিশ্বাসই চায় এক জন খেলোয়াড়।’’ তিনি নিজে এই পদে আসতে কি আগ্রহী? সহবাগ বলেন, ‘‘কলাম লিখি, টিভিতে আসি। নির্বাচক হওয়ার অর্থ অনেক বিধি-নিষেধ মানা। জানি না নিষেধ মানতে পারব কি না’’
২০১৭ সালে বিরাট কোহালিদের কোচ হওয়ার দৌড়ে রবি শাস্ত্রীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন সহবাগ। তবে এ বার তিনি আবেদন করেননি। ‘‘২০১৭ সালে ভারতীয় বোর্ডের সচিব ও এম ভি শ্রীধর (জেনারেল ম্যানেজার ক্রিকেট অপারেশনস) বলেছিলেন আবেদন করতে, তাই করেছিলাম। এ বার আবেদন করিনি,’’ জবাব তাঁর। স্বার্থ-সংঘাত প্রসঙ্গে বীরু বলেন, ‘‘বুঝতে পারছি যদি জাতীয় নির্বাচক হই, তা হলে অ্যাকাডেমি চালাতে পারব না। কিন্তু যদি জাতীয় কোচ হই, কেন অ্যাকাডেমি চালাতে পারব না, বুঝতে পারছি না।’’
স্টিভ স্মিথের সাম্প্রতিক চোটের পরে ব্যাটসম্যানদের ‘নেক গার্ড’ পরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বোলারকে ঘাড় দেখানোর প্রয়োজন কী? হাতে ব্যাট আছে, মাথায় হেলমেট আছে। আমি তো গোটা কেরিয়ারে কোনওদিন চেস্ট প্যাড পরিনি।’’