পরামর্শ: কোহালির উপদেশ পেয়ে মুগ্ধ শুভমন গিল । ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকের সিরিজেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। ব্রিসবেনে ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট এবং সিরিজ জয়ের নেপথ্যে শুভমন গিলের অপরাজিত ৯১ রান বড় ভূমিকা নিয়েছিল।
টেস্ট ক্রিকেটে পা রেখেই সফল হওয়ার জন্য ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন শুভমন। একটি টিভি চ্যানেলে ভারতের তরুণ ওপেনার বলেছেন, ‘‘বিরাট ভাই আমাদের কাছে বড় প্রেরণা। যখনই আমরা ওর সঙ্গে কথা বলি, বিরাট ভাই আমাদের দারুণ ভাবে উৎসাহিত করে।’’
ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ, শুভমনের মতো তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দেখা গিয়েছে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে। তা সেটা টেস্টই হোক কী সীমিত ওভারের ক্রিকেট। শুভমনের কথায় জানা যাচ্ছে, এই মানসিকতার পিছনেও রয়েছেন কোহালি। শুভমন বলেছেন, ‘‘বিরাট ভাই আমাদের সব সময় বলে থাকে, তোমরা তরুণরা কোনও চাপ নেবে না। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে। আমি যখনই চাপে থাকি, ওর সঙ্গে কথা বলি। ওর কথা আমাকে প্রেরণা জোগায়।’’ যোগ করেন, ‘‘নিজের অভিজ্ঞতার কথাও আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয় বিরাট ভাই। বিশেষ করে যখন ও সবে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিল, সে সময়ের কথা আমাদের বলে।’’
ভারতীয় দলের আর এক মহাতারকা, রোহিত শর্মার কথাও বলেছেন শুভমন। জানিয়েছেন, রোহিতের সঙ্গে মূলত কথা হয় ক্রিকেট নিয়েই। শুভমনের কথায়, ‘‘রোহিত ভাই আর আমি যখন ব্যাট করি, তখন বোলার কোথায় বলটা ফেলতে পারে, কোথায় আমাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে, এই সব নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি।’’ শুভমন আরও বলেন, ‘‘এ ছাড়াও পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের কী রকম ব্যাট করা উচিত, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলি। যেমন, আমাদের ঝুঁকি নেওয়া উচিত কি না। আর যদি উইকেটে জমে গিয়ে থাকি, তা হলে নিজেদের মধ্যে কথা বলে ঠিক করে নিই, কী ভাবে বোলারকে আক্রমণ করব।’’
অস্ট্রেলিয়ায় সফল হলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সে রকম রান পাননি শুভমন। স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ওপেন করতে নেমেও সফল হতে পারেননি এই তরুণ। কিন্তু নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে তাঁর গলায় ধরা পড়েছে আত্মবিশ্বাস। যে আত্মবিশ্বাস এসেছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্যাট কামিন্স, জশ হেজ্লউড, মিচেল স্টার্ক, নেথান লায়নকে সামলে রান পাওয়া থেকে। সাতটি টেস্ট খেলা শুভমন বলেছেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিদেশের মাঠে খুব ভাল খেলছি। অস্ট্রেলিয়াতেও তাই হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে, এর চেয়ে ভাল প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলতে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’’মুম্বইয়ে এখন দলের বাকি সদস্যের সঙ্গে নিভৃতবাসে রয়েছেন শুভমন। এই প্রথম তিনি ইংল্যান্ড সফরে যাবেন। যা নিয়ে শুভমনের মন্তব্য, ‘‘আমাদের পরিস্থিতি বিচার করে ইংল্যান্ডে ব্যাট করতে হবে। ওখানে বৃষ্টি বেশি হয়। সে রকম মেঘলা আবহাওয়া হলে বল সুইং করবে। আবার রোদ উঠে গেলে ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে খেলতে হবে।’’
কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে নিভৃতবাসে থাকাটা যে বড় পরীক্ষা ক্রিকেটারদের কাছে, তা ধরা পড়ছে শুভমনের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘‘১৪ দিন একটা ঘরের মধ্যে আটকে থাকাটা বেশ কঠিন। আমাদের বিশেষ কিছু করারও থাকে না।’’ তা হলে নিজেকে তৈরি রাখছেন কী ভাবে? শুভমনের জবাব, ‘‘আমাদের একটা ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সূচি দেওয়া হয়েছে। সেটা মেনে চলছি। তা ছাড়া সিনেমা দেখছি, গান শুনছি। এই ভাবে সময় কাটছে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা বেশ কঠিন।’’
ক্লার্কের লড়াই: সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে বিতর্ক বারবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। সেই সূত্র ধরে নতুন এক কাহিনি ফাঁস করলেন মাইকেল ক্লার্ক। জানালেন, ২০১১ বিশ্বকাপের পরে রিকি পন্টিংকে দলে রাখার জন্য নির্বাচকদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল তাঁকে।