'বিরাট বানি'তে বদলে গিয়েছে জীবন। মেনে নিলেন ব্ল্যাকউড।
সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যে কথাবার্তা ও মাঠে মাত্র ১০ মিনিটের আলোচনা। ওঁর ক্রিকেট দর্শনটাই পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল। যিনি এমন স্বীকারোক্তি করলেন, তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং ব্যাটসম্যান জারমেইন ব্ল্যাকউড। আর যাঁর পরামর্শে তাঁর জীবনে এত বড় বদল এল, তিনি এক ও অদ্বিতীয় বিরাট কোহালি। টেস্ট ক্রিকেটে বড় রান করার খিদে ‘কিং কোহালি’র জন্যই এসেছিল, কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এমনটাই জানালেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্যারিবিয়ান ওপেনার বলেন, “২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় দল এসেছিল। তার আগে মাঝেমধ্যেই ওর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে কথা বলতাম। এরপর জামাইকাতে টেস্ট ম্যাচ চলার সময় প্রথমবার কোহালির সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলেছিলাম।” প্রসঙ্গত সেই টেস্টে ড্যারেন ব্রাভো চোট পেলে ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে মাঠে নামেন ব্ল্যাকউড।
ভারত অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছিল? ব্ল্যাকউড বলেন, “অর্ধ শতরান সহজে এলেও বড় রান কিছুতেই করতে পারছিলাম না। ফলে বেশ কয়েকবার দল থেকে বাদও পড়েছিলাম। তাই সেই ম্যাচের শেষে ওর সঙ্গে কথা বলতে যাই। খুবই বিনয়ের সঙ্গে বিরাট সেদিন কথা বলেছিল।”
ক্যারিবিয়ান ওপেনার যোগ করেন, “ওকে বলেছিলাম, আমি টেস্টে বড় রানের ইনিংস খেলতে চাই। তোমার পরামর্শ প্রয়োজন।” বিরাটের প্রশ্ন ছিল, ‘শেষবার শতরান করার সময় তুমি কতগুলো বল খেলেছিলে?’ আমি বললাম, ‘২১২ বল খেলেছিলাম।’ সেটা শোনার পর কোহালির প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘এটাই তো শুনতে চেয়েছিলাম। সেঞ্চুরি করার জন্য ২১২ বল খেলতে পারলে তোমার পিচে টিকে থাকার ক্ষমতা আছে। এবার সেটা বাড়ানোর জন্য ধৈর্য বজায় রাখতে হবে। ধৈর্য বাড়ানোর জন্য যোগ ব্যায়াম খবুই ভালো ওষুধ।”
টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের দাওয়াই তাঁর কেরিয়ারে উত্তরণ ঘটায়। তাই তিনি কোহালির প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। যোগ করেন, “সেই ঘটনা আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বিপক্ষের তাবড় বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে আর কখনও সমস্যা হয়নি।”
কয়েক বছর আগে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নিয়মিত ছিলেন না। তবে সেই ব্ল্যাকউড ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রান করেন। প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “প্রায় তিন বছর দলের বাইরে ছিলাম। বিরাটের বক্তব্য আমাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করেছে। এরপর থেকে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য নেটে আরও ব্যাটিং করা ছাড়াও ফিটনেস বাড়ানোর জন্য যোগ ব্যায়াম ও জিমে নিজেকে ব্যস্ত রাখি। এর সুফল পাচ্ছি। এখন শট বাছাই অনেক ভাল হয়েছে। সৌজন্যে বিরাট কোহালি।”