n আন্তরিক: সাদাম্পটনে কোহালি-উইলিয়ামসন। টুইটার,
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারের পরে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালি ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিবর্তনের। পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নিতে পারেন, এমন ক্রিকেটার টেস্ট দলে চান তিনি। সময় মতো যাঁরা কাঁধে তুলে নিতে পারবেন দায়িত্ব।
টেস্ট ফাইনালে হারলেও কোহালির মানসিকতা কিন্তু প্রশংসিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। সাদাম্পটনে ম্যাচের পরে উইলিয়ামসনকে বুকে জড়িয়ে অভিনন্দন জানান ভারত অধিনায়ক। যে ছবি ছড়িয়ে পড়ে টুইটার-ফেসবুকে। ভারত যে খেলোয়াড়ি মানসিকতার সঙ্গেই এই হারটাকে গ্রহণ করেছে, তা পরিষ্কার রবি শাস্ত্রীর মন্তব্যেও। ভারতের প্রধান কোচ টুইট করেন, ‘‘ওই পরিবেশে সেরা দলই জিতেছে। সব চেয়ে বেশি সময় অপেক্ষা করার পরে যোগ্য দল হিসেবেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতল নিউজ়িল্যান্ড।’’ শাস্ত্রী এও লেখেন, ‘‘সহজে যে বড় কিছু পাওয়া যায় না, তার আদর্শ উদাহরণ দেখা গেল।’’
বিপক্ষকে যেমন অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি কোহালি, সে রকমই নিজের দল নিয়ে কাটাছেঁড়া করে চলেছেন সমানে। ফাইনালের পরে ‘ভার্চুয়াল’ সাংবাদিক বৈঠকে এসে বিরাট বলেছেন, ‘‘দল নিয়ে পর্যালোচনা করার সময় হয়েছে। বেশ কিছু পরিবর্তনের জায়গা আছে। তা নিয়ে আলোচনা হবে। কী ভাবে দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায়, তা ভেবে দেখার এটাই সময়। একটা ফর্মুলায় যেন আটকে না যাই, সেটাও দেখতে হবে।’’
কোহালি এও বলেন, ‘‘সময় নেই বেশি। কী ভাবে দল সাজালে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা সম্ভব, সেটা দ্রুত খুঁজে বার করতে হবে আমাদের। দলে এমন ক্রিকেটার লাগবে যারা ভয় পায় না। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।’’ রাতে অবশ্য গণমাধ্যমে দলের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে বিরাট লেখেন, ‘‘এটা শুধু একটা দল নয়। এটা একটা পরিবার। আমরা সামনে এগিয়ে যাব। একসঙ্গে।’’
নিজেদের সীমিত ওভারের দলের উদাহরণ দিয়ে বিরাট বলেছেন, ‘‘সীমিত ওভারের দল কী ভাবে উন্নতি করেছে, তা সবার কাছেই স্পষ্ট। ওই দলে গভীরতা আছে। প্রত্যেকে সেরাটা দিতে তৈরি। টেস্ট দলও সে রকমই গড়তে হবে।’’ টেস্ট ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ২১৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭০ রানে শেষ হয়ে যায় ভারত। বিরাট, চেতেশ্বর পুজারা-সহ প্রায় সবাই ব্যর্থ। যা নিয়ে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিরাট বলেছেন, ‘‘কী ভাবে রান করা যায়, সেটা বুঝতে হবে। পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলতে হবে আমাদের। এমন কিছু করা যাবে না যাতে বিপক্ষের হাতে চলে যায় ম্যাচ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বোলারদের অতিরিক্ত সম্মান দিয়ে নিজেদের উপরে চাপ তৈরি করা চলবে না।’’
বিরাট যদিও এক টেস্টের ফাইনাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি মনে করেন, দু’বছরের পরিশ্রমের ফল কখনও এক ম্যাচের ফাইনাল দিয়ে বিচার করা যায় না। পরের বার থেকে অন্তত তিনটি ম্যাচের ফাইনাল চান তিনি। বিরাটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এক টেস্টের ফাইনাল দিয়ে বিচার করা যায় না কোন দল বিশ্বসেরা। শেষ দু’বছরের পরিশ্রম কখনও একটি টেস্টে শেষ হয়ে যায় না। তিনটি ম্যাচের ফাইনাল থাকলেই আদর্শ বিজয়ী পাওয়া সম্ভব।’’
নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন যদিও এক ম্যাচের ফাইনালের বিরুদ্ধে নন। তিনি বলেছেন, ‘‘এক ম্যাচের ফাইনালে আলাদা উত্তেজনা থাকে। যে কোনও দল জিততে পারে। এক ম্যাচের ফাইনাল কিন্তু অন্য রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে।’’