৩৩ বলে ৪৪ রান করলেন শ্রেয়স আইয়ার।—ছবি এএফপি।
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ এগিয়ে গিয়েও উচ্ছ্বাসে ভাসতে নারাজ ভারতীয় দল। অধিনায়ক বিরাট কোহালি ম্যাচের পরে বলেই দিলেন, ‘‘ফের আরও একটা নিখুঁত জয় পেয়েছে দল। এর বেশি কিছু নয়। সিরিজে এখনও তিনটি ম্যাচ রয়েছে। বাকি তিন ম্যাচও এভাবেই জিততে চাই।’’
নিউজ়িল্যান্ডকে ১৫ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে হারিয়ে এ দিন ভারতীয় অধিনায়ক তাঁর বোলিং বিভাগের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘বোলাররা আজ নিউজ়িল্যান্ডকে ১৩২ রানে আটকে রেখে দারুণ কাজ করেছে। অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে ওরা। এক সময়ে মনে হচ্ছিল নিউজ়িল্যান্ডের রান ১৬০-এর উপরে চলে যাবে। কিন্তু বোলারদের জন্যই বিপক্ষের রানটা বাড়তে পারেনি।’’ কোহালি যোগ করেন, ‘‘জাডেজা দারুণ বল করেছে। চহাল তো আমাদের লুকনো অস্ত্র। সঙ্গে বুমরাও দুর্দান্ত। মহম্মদ শামি, শিবম দুবে ও শার্দূল ঠাকুরও বল হাতে কাজের কাজটা করে গিয়েছে।’’
ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরুতেই এ দিন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহালি দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় এক সময়ে চাপ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই জায়গা থেকে জয়ের দিকে দলকে টেনে নিয়ে যান কে এল রাহুল। ম্যাচের সেরাও তিনি। খেলার পরে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগের ম্যাচের মতো বড়া রান তাড়া করার চাপ ছিল না। একই সঙ্গে আগের ম্যাচের চেয়ে এই পিচ আলাদা ছিল। তাই আগের ম্যাচে যে ভাবে ব্যাট করেছিলাম, এ দিন সে ভাবে খেলিনি। তা ছাড়া, এ দিন রোহিত ও বিরাট আগে আউট হয়ে যাওয়ার পরে দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছিল। তাই উইকেট কামড়ে পড়েছিলাম। ঠিক করে নিয়েছিলাম, ম্যাচ শেষ করে প্যাভিলিয়নে ফিরব। শেষ পর্যন্ত তা করতে পারায় ভাল লাগছে।’’
আরও পড়ুন: গড়াপেটার বিস্ফোরক অভিযোগ, কোচকে বরখাস্ত করল ট্রাউ
নিজের দুর্দান্ত ছন্দে পারফরম্যান্সের সম্পর্কে রাহুল আরও বলেন, ‘‘পরিস্থিতি বুঝে খেলার চেষ্টা করছি বর্তমানে। এতে আমার খেলার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে রান পেতে সাহায্য করেছে। দল যা চাইছে, সেই প্রত্যাশা মেটানোর চেষ্টা করছি আপ্রাণ।’’
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড হাবাস, আজও ঢুকতে পারবেন না মাঠে
অন্য দিকে, এ দিনও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের চার নম্বরে নেমে ৩৩ বলে ৪৪ রান করা শ্রেয়স আইয়ার বলছেন, ‘‘অধিনায়ক বিরাট কোহালির রান তাড়া করা দেখেই এ ভাবে ব্যাট করতে শিখেছি। রান তাড়া করতে গেলে মাথায় ঢুকিয়ে নিতে লাগে কত রান তাড়া করতে হবে। আর প্রতি ওভারে কত রান চাই। এই ব্যাপারগুলোই শিখেছি খুব কাছ থেকে বিরাট কোহালিকে রান তাড়া করতে দেখে। যে ভাবে বিপক্ষকে চূর্ণ করে ম্যাচ শেষ করে ফেরে বিরাট, তা সত্যিই শিক্ষণীয় তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে।’’