অতিথি: শনিবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে লারা। ছবি: পিটিআই।
কিছু দিন আগে ডেভিড ওয়ার্নার টেস্টে তাঁর চারশো রানের সর্বোচ্চ ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড ভাঙার খুব কাছে চলে এসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩৫ রানে অপরাজিত থেকে যান অস্ট্রেলীয় ওপেনার। কে ভাঙতে পারেন এই রেকর্ড?
শনিবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এসে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে। যার জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওয়ার্নার বা অতীতের ক্রিস গেল, ইনজামাম উল হক, সনৎ জয়সূর্য বা ম্যাথু হেডেনের ক্ষমতা ছিল এই রেকর্ড ভাঙার। কারণ ওরা সবাই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান।’’ এর পরে তিনি বলেন, ‘‘বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মার মতো ব্যাটসম্যান যদি একটা গোটা দিন বা দেড় দিন ব্যাট করতে পারে, তা হলে অবশ্যই আমার রেকর্ড ভাঙতে পারে। আশা করব, আমার রেকর্ড ভাঙা হচ্ছে, এমন দিন দেখে যেতে পারব।’’
অনেক বছর হয়ে গিয়েছে আইসিসি প্রতিযোগিতায় কোনও ট্রফি জিততে পারেনি ভারত। সেমিফাইনাল বা ফাইনালে এসে থেমে যেতে হয়েছে। কেন হচ্ছে এ রকম? প্রশ্নের জবাবে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি বলেছেন, ‘‘এখন সবার নজরই থাকে ভারতের উপরে। ধরেই নেওয়া হয় ভারত সেমিফাইনাল না হলে নক-আউটে উঠবেই। যে কারণে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় সবাই ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটার জন্য আলাদা করে তৈরি হয়। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটাই দেখুন। ওরা জানত, কাকে নিশানা বানাতে হবে আর কী করতে হবে। ভারতকে এই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে।’’
আরও পড়ুন: গোলাপি বলের টেস্টেও লাবুশানের দাপট চলছে
সত্তর-আশির দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা তারও পরে অস্ট্রেলিয়া দাপট দেখিয়ে গিয়েছিল একচেটিয়া। যে কথা মনে করিয়ে দিয়ে লারা বলছেন, ‘‘একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা অস্ট্রেলিয়া অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল। সবাই জানত, ওদের না হারালে বিশ্বকাপ জেতা যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই দুটো দল জিতত। কারণ ওদের কোনও দুর্বলতা ছিল না। সব বিভাগেই নিখুঁত ছিল।’’
ভারতের দুর্বলতা কী, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন লারা। বলেছেন, ‘‘সবাই বিশ্বাস করে কোহালি বা রোহিতকে অল্প রানে ফিরিয়ে দিতে পারলে ভারতকে হারানো সম্ভব। সবাই এটা ভেবে নামে যে এই দু’জনকে তাড়াতাড়ি তুলে নাও, ম্যাচটা আমাদের দখলে চলে আসবে। এটা একটা দুর্বলতা। এই দুর্বলতা ভারত যদি দূর করতে পারে, এগারো জন ক্রিকেটারই যদি এক রাস্তায় হাঁটতে পারে, তা হলে ওরা আরও অনেক বিশ্বকাপ জিতবে।’’
লারা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, ভারতের এই একটা ম্যাচে ধাক্কা খাওয়ার ইতিহাস আবার ফিরে আসতে পারে। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘ভারতের জন্য এই প্রতিযোগিতাগুলো এক ম্যাচের হতাশা হয়ে থাকছে। ইংল্যান্ডে ঘটল, তার আগেও ঘটেছে। এমনকি ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে যদি ও রকম একটা দিনে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে না পারে ভারত।’’