আকাশে চোখ রেখে কোহলির ‘বিদায় বেঙ্গালুরু’। বুধবার। -এএফপি
তিনি কতটা আন্তর্জাতিক মানের ব্যাটসম্যান তা নিয়ে ‘বিচারসভা’ অব্যাহত। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহার দক্ষতার উপর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির আস্থা ভোট প়ড়ে গেল বৃষ্টিস্নাত ড্র টেস্ট ম্যাচ-উত্তর। যা বাংলার উইকেটকিপারের কাছে বিরাট মানসিক বলবর্ধকের কাজ করবে মনে করা হচ্ছে। চিন্নাস্বামীতে শেষ দিনও এক বল না হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে এখনও ১-০ এগিয়ে থাকা ভারতীয় দলের অধিনায়ককে ঋদ্ধি কি চলতি সিরিজে আশানুরূপ, এই প্রশ্ন করলে ক্যাপ্টেন কোহলির সটান জবাব, ‘‘ঋদ্ধির অ্যাটিটিউড আমার সত্যিই ভীষণ ভাল লাগে। প্রচণ্ড পরিশ্রমী ক্রিকেটার। দলের জন্য ও যে কোনও কিছু করতে পারে। ঋদ্ধি দুর্দান্ত উইকেটকিপার। ব্যাটের হাতটাও খুব ভাল। ওর প্রথম শ্রেণির রেকর্ড খুব ভাল। ঘরোয়া ম্যাচে ও চাপের মুখে প্রচুর রান করেছে।’’
একত্রিশ বছরের বঙ্গজ ক্রিকেটার সম্পর্কে কোহলি এর পরে সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলেন, ‘‘ও এখনও টেস্টে নিজের জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এর মধ্যেই ও কিপিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। ব্যাটিংয়ের ব্যাপারেও সাহা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। আর সেটা হবে ও টেস্টে যত বেশি রান করবে আর সেই রানটা দলের উপর যত বেশি প্রভাব ফেলবে। আর সেটাই হবে আমাদের দলে ছয় কিংবা সাতের জন্য পারফেক্ট ব্যাপার। ও এমন এক জন ব্যাটসম্যান যে সত্যিই খুব ভাল চাপ সামলাতে পারে। সিডনিতে প্রথম ইনিংসে ও সে রকমই একটা অবস্থায় প্রচুর সময় ধরে ক্রিজে পড়েছিল। ফাস্ট বোলারদের সত্যিই ভাল খেলেছিল।’’ ঋদ্ধিকে এখন কোহলি এমনও শংসাপত্র দিচ্ছেন— যে কোনও কন্ডিশনে যে কোনও আক্রমণের বিরুদ্ধে বাংলার কিপার ব্যাট করে দিতে পারেন। ‘‘ওর নিজের উপর সেই বিশ্বাস আছে। নিজের ব্যাটিং নিয়ে ও এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, আমি যে কোনও অবস্থায় যে কোনও আক্রমণের সামনে ব্যাট করতে পারি। সাহা ক্রমশ এই টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠছে।’’
পাঁচ দিনের ম্যাচে মাত্র এক দিনের খেলার ভিত্তিতে দলে কোনও পরিবর্তন না করে সিরিজের শেষ দুই টেস্টেও নির্বাচকেরা আজ একই স্কোয়াড রেখে দিয়েছেন ভারতের। কোহলিও হতাশ, ‘‘টেস্টে যদি চার দিনই নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে একটা রিজার্ভ দিন থাকা না থাকা সমান। এক-দু’দিন নষ্ট হলে তবু না হয় রিজার্ভ ডে-টা কাজে লাগে।’’