বিরাট কোহলি। ছবি: টুইটার
ভারতীয় ক্রিকেটারদের দক্ষতায় যেমন তিনি মুগ্ধ, তেমনই বিরাট কোহালির দলের আর একটা ব্যাপারও খুব ভাল লেগেছে ইশ সোধির। ভারতীয় ক্রিকেটাররা যে ভাবে অন্যদের পরামর্শ দিতে এগিয়ে আসেন, তা দেখে কোহালিদের প্রতি সম্মান আরও বেড়ে গিয়েছে নিউজ়িল্যান্ডের এই লেগস্পিনারের।
সোমবার ওয়েলিংটনে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে সোধি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটারদের দক্ষতা দেখলে শ্রদ্ধা করতেই হবে। তাই সবাই চাইবে, ওদের সঙ্গে একটু কথা বলতে, ওদের পরামর্শ নিতে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা কিন্তু সব সময় সাহায্য করতে তৈরি। নিজেদের অভিজ্ঞতা ওরা ভাগ করে নেয় অন্যদের সঙ্গে।’’
সোধি নিজে লেগস্পিনার। তাই তাঁর মুখে উঠে আসছে ভারতীয় লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চহালের নাম। সোধি বলেছেন, ‘‘চহালের থেকে অনেক সাহায্য পাওয়া যায়। ও সম্পূর্ণ অন্য ধরনের বোলার। ছেলেটা খুব খোলা মনের। এই ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে পারা, ওদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারাটা একটা দারুণ ব্যাপার।’’
শুধু চহালই নন, সোধি মুগ্ধ ভারতের অন্য দুই স্পিনারেও। অফস্পিনার আর অশ্বিনের নানা ধরনের ডেলিভারি করার ক্ষমতা ও বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজার পরিশ্রমের ভক্ত তিনি। সোধির কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগেই জাডেজার সঙ্গে ওর ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে কথা বলছিলাম। অশ্বিনের সঙ্গে ওর ক্যারম বল আর গুগলি নিয়ে আলোচনা করেছি। একজন অফস্পিনার হয়েও অশ্বিন কী করে গুগলি দেয়, তা দেখে বিস্মিত। অদ্ভুত ব্যাপার!’’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরছেন নেমার, চনমনে সালাহরা
শুধু ভারতীয় স্পিনারদের কথাই শোনা যায়নি সোধির মুখে, ব্যাটসম্যানদের কথাও বলেছেন তিনি। যেমন ঋষভ পন্থ। সোধির কথায়, ‘‘ঋষভ স্পিনের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাট করে। ওর কাছে আমি জানতে চাইব, কোন লেংথে বল করলে সেটা মারা সব চেয়ে কঠিন হয়।’’
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে অতীতে কয়েক বার আউট করেছেন নিউজ়িল্যান্ডের এই লেগস্পিনার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোহালির মধ্যে কোনও দুর্বলতা খুঁজে পাননি সোধি। তিনি বলেছেন, ‘‘লেগস্পিনাররা বিরাটকে আউট করলে কী হবে, ওদের বিরুদ্ধে ও অনেক রানও করেছে। বিরাট হল এমন ব্যাটসম্যান, যাকে ক্রমাগত আক্রমণ করে যেতে হয়। না হলে ও পাল্টা চাপ তৈরি করবে আপনার উপরে। কোহালির বিরুদ্ধে বল করতে গেলে আপনাকে রীতিমতো সাহসী হতে হবে।’’
তাঁর বয়স ২৭ হলেও আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস স্পিন পরামর্শদাতা হিসেবে দলে রেখেছে সোধিকে। পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অর্থনৈতিক এবং পরিকাঠামোর দিকটাও দেখবেন তিনি। সোধি বলছেন, ‘‘আমার কাজটা বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে। তবে আমি এই চ্যালেঞ্জটা উপভোগই করব।’’