বিরাট কোহালি।
শুধু নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নয়, এক দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে অন্য দলের ক্রিকেটারদের যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়, সেটাই আইপিএলকে বাকি প্রতিযোগিতার থেকে আলাদা করে দিয়েছে। এমনটাই মনে করেন ভারত এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহালি।
একটি টিভি চ্যানেলে কোহালি বলেছেন, ‘‘আমরা যে সব সিরিজ খেলি, সেখানে একটা দলের সঙ্গে আর একটা দলের লড়াই হয়। আইসিসি প্রতিযোগিতাগুলো বছরে মাঝে মাঝে হয়। কিন্তু সেখানেও অন্য দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সে ভাবে কথাবার্তা হয় না। দেখা সাক্ষাৎও কম হয়।’’ এবং, এখানেই যে আইপিএল বাকি প্রতিযোগিতাগুলোর থেকে আলাদা, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কোহালি।
ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আইপিএলে কিন্তু একটা দলের সঙ্গে দিন দুই বাদে বাদেই দেখা হয়ে যায়। তা ছাড়া প্রায় প্রতিটা ম্যাচই একেবারে অন্য রকম পরিবেশে খেলা হয়। এটাই আইপিএলের মজা। আইপিএলের বৈশিষ্ট।’’
আরও পড়ুন: কোটলায় কুম্বলের শিকার হতে চাইনি, ঐতিহাসিক টেস্টের কথা ফাঁস করলেন আক্রম
করোনাভাইরাসের আক্রমণে খেলাধুলো স্তব্ধ না হয়ে গেলে এই মুহূর্তে দেখা যেত, আরসিবি-কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোহালি। আইপিএলে আরসিবি এখনও এক বারও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও কোহালির দলে কিন্তু অনেক মহাতারকা ক্রিকেটারই খেলে গিয়েছেন বা খেলছেন। এই তালিকায় রয়েছেন ক্রিস গেল, এ বি ডিভিলিয়ার্সের মতো নাম। কোহালি বার বার বলেছেন, এই ভাবে সবার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নিতে পারাটা কত কাজে দিয়েছে।
টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে কোহালি এও বলেন, ‘‘আইপিএল খেলতে আমি দারুণ ভালবাসি। এখানে ক্রিকেটের বাইরেও সবার সঙ্গে সবার একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।’’ কোহালি এও বলেছেন, ‘‘আইপিএল খেলতে অনেক নতুন, নতুন ক্রিকেটার আসে। যাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। আবার এমন অনেকের সঙ্গে প্রতি বছর দেখা হয়, যারা অনেক দিন ধরে আইপিএলে খেলছে। এরা অন্য দেশের ক্রিকেটার। যাদের সঙ্গে এমনিতে বেশি দেখা হওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু আইপিএলের সৌজন্যে দেখা হয়ে যায়।’’ এই কারণেই আইপিএল সবার কাছেই একটা বড় আকর্ষণ বলে মনে করেন কোহালি। ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সবাই যে আইপিএলকে ভালবাসে, তার কারণ, ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। সম্পর্ক তৈরি হয় ক্রিকেটার, দর্শক এবং ভক্তদের মধ্যেও।’’
টিভি অনুষ্ঠানে খুদে ভক্তদের প্রশ্নের উত্তরও দেন কোহালি। তাঁকে এক খুদে ভক্ত প্রশ্ন করে, ‘‘এই লকডাউনে আপনি সব চেয়ে কোন জিনিসটাকে ঘৃণা করছেন?’’ জবাবে হেসে কোহালি বলেন, ‘‘ভাল প্রশ্ন। তবে আমি কিছুকে ঘৃণা করছি, এটা বলা ঠিক নয়। বরং বলব, এই লকডাউনে কয়েকটা চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ছি। যেমন, কিছু কিছু ব্যাপারে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই লকডাউন আমাদের সামনে নিজেকে উন্নত করার সুযোগও এনে দিয়েছে।’’ কিন্তু কিছুকেই কি তিনি ঘৃণা করেন না? কোহালি বলেছেন, ‘‘আমার একটা জিনিসই খারাপ লাগে। যখন দেখি, কিছু লোক নিয়ম মানছে না।’’
আরও পড়ুন: জার্মানি ও স্পেন তবু লিগ চালু করার পক্ষে