অভিনব: উইলিয়ামসকে ছয় মেরে ‘নোটবুক’ উৎসব অধিনায়কের।
বিরাট কোহালিকে তাঁর নিজের দেশে আউট করার পরে অভিনব উৎসব করেছিলেন কেসরিক উইলিয়ামস। বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে বিরাটকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ‘তোমার উইকেট আমার পকেটে।’ শুক্রবার উপ্পল স্টেডিয়ামে উইলিয়ামসকে ছয় মেরে সেই উৎসব ফিরিয়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক।
কাগজে সই করার ভঙ্গিতে বিরাট বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘তোমার ডেলিভারি এখন আমার পকেটে।’ অতীতে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও এ রকম উৎসব করে সমস্যায় পড়েছেন উইলিয়ামস। তাঁকে এক ওভারে একাধিক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেই উৎসব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাডউইক ওয়াল্টন। এ বার কোহালিও জবাব দিলেন।
অপরাজিত ৯৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতার পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কোহালিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘‘তুমি কি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নজর রাখো? না হলে উইলিয়ামসের এই উৎসব নকল করলে কী করে!’’ কোহালির উত্তর, ‘‘সিপিএল-এ সে রকম নজর রাখা হয় না। তবে জামাইকায় আমাকে আউট করার পরে এই ভঙ্গিতেই উৎসব করেছিল ও। তাই আমিও ভাবলাম, এ বার ওকে ‘নোটবুক’-এ বন্দি করা যাক। ম্যাচের শেষে যদিও হাত মিলিয়ে সব মিটিয়ে নিয়েছি। ক্রিকেটে এমন হয়েই থাকে।’’
ইনিংসের শুরুতে যদিও কোহালিকে সেরা ছন্দে দেখা যায়নি। তাই তরুণ ক্রিকেটারদের কোহালির বার্তা, ‘‘যারা ম্যাচ দেখেছে, অনুরোধ করব, আমার ইনিংসের শুরুটা মাথা থেকে মুছে ফেলো। কারণ, শুরুতে টাইমিংয়ের প্রতি জোর দিইনি। শক্তির প্রয়োগ করতে চেয়েছি। পরের দিকে নিজের ভুল শুধরে টাইমিংয়ের সাহায্যে ব্যাট করা শুরু করেছি।’’ কোহালি যদিও কোনও ফর্ম্যাটের বিশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত হতে চান না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেক ফর্ম্যাটেই অবদান রাখার চেষ্টা করি। কখনওই পিঞ্চহিটার হতে পারব না। যতটুকুতে কাজ সেরে নেওয়া যায়, সেটাই চেষ্টা করি।’’
কোহালির এই ইনিংসে মুগ্ধ ভিভ রিচার্ডস থেকে বীরেন্দ্র সহবাগ। রিচার্ডসের টুইট, ‘‘অসাধারণ, সত্যিই অসাধারণ বিরাট। অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি ম্যাচ। বিনোদনে ভরা।’’ বীরেন্দ্র সহবাগ লিখেছেন, ‘‘বিরাটের সময় ভাল যাচ্ছে বলা যাবে না। এটা বিরাটের যুগ। কে এল রাহুলও ভাল ব্যাট করেছে। ঋষভ পন্থের ক্যামিয়ো ইনিংসের প্রভাবও দেখা গিয়েছে।’’