মানবিক: বিপণ্ণদের পাশে দাঁড়াতে একজোট বিরাট-ঋদ্ধিরা। ফাইল চিত্র
করোনা অতিমারির মধ্যেই পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য অসম ও বিহার বন্যায় নাজেহাল। এই পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের সাহায্যে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির নেতৃত্বে এগিয়ে এলেন দেশের একঝাঁক সফল ক্রীড়াবিদ।
যেখানে ভারতীয় স্পিন বোলিং বিভাগের দুই তরুণ তুর্কি কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহাল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরুণ ব্যাটসম্যান শুভমন গিল, অজিঙ্ক রাহানে, মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরদের সঙ্গে রয়েছেন বাংলা থেকে জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাও। মানব সেবায় তহবিল গড়তে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাও।
দেশের মানুষের সাহায্যের জন্য সমাজের সর্ব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এই সব তারকা ক্রীড়াবিদরা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের সচেতনতা বাড়ানোর ভিডিয়ো। পাশাপাশি, নিজেদের নানা ক্রীড়া সরঞ্জাম নিলাম করে আর্থিক তহবিল গড়ারও অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সেই ভিডিয়োতে সবার প্রথমে দেখা যায় বিরাটকে। তাঁর আবেদন, ‘‘অসম ও বিহারের বন্যা কবলিত মানুষ আপনাদের সাহায্য চাইছেন।’’ কুলদীপ ও ঋদ্ধিমানও বলছেন, ‘‘খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এই দুই রাজ্যের একটা বড় অংশের নাগরিক।’’ সানিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ বার আমাদের এগিয়ে আসার পালা।’’ অজিঙ্ক রাহানে বলছেন, ‘‘দেশের মানুষের দুর্দশা কাটাতে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’’
ভিডিয়োর পরবর্তী অংশে দেখা যায়, ঋদ্ধিমান তাঁর ভারতীয় দলের ছয় নম্বর জার্সি হাতে নিয়ে বলছেন, ‘‘ওঁদের পাশে দাঁড়াতে পিঠে আমার সই করা এই জার্সিটা নিলামে তুলব।’’ বিরাটের ঘোষণা, ‘‘ভারতের হয়ে জেতা ম্যাচের এক জোড়া ব্যাট আমার সই করে নিলামে তুলতে চলেছি।’’ এ ভাবেই প্রত্যেকে কিছু না কিছু সরঞ্জাম অর্থ সংগ্রহের জন্য নিলামে তুলছেন। কুলদীপ দিচ্ছেন তাঁর হ্যাটট্রিক করার বল। চহাল আবার দেবেন দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির বলটি। হরমনপ্রীত ও শুভমন দিচ্ছেন তাঁদের সই করা ভারতীয় দলের জার্সি। রাহানের তরফ থেকে আসছে আইপিএলে শতরান করা ব্যাট। আর সানিয়া মির্জা বলছেন, ‘‘২০১৬ সালে অস্ট্রেলীয় ওপেনে মহিলাদের ডাবলস খেতাব যে র্যাকেটে খেলে জিতেছিলাম, সেটাই দেব নিলামে।’’ সানিয়ার কথায়, ‘‘আমাদের মতো আপনারাও এগিয়ে আসুন।’’ শুভমন বলছেন, ‘‘দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা সবাই জোট বেঁধেছি।’’ ঋদ্ধিমান ও চহাল বলে দিচ্ছেন, ‘‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের
দেশবাসীদের রক্ষা করেন।’’