ফাইল চিত্র।
সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্রিসবেন টেস্টে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ের পিছনে তাঁর অবদানও ছিল বিশাল। রান হয়তো খুব বেশি করেননি। কিন্তু একটা দিকের উইকেট রক্ষা করে গিয়েছিলেন। তাঁর শরীরে এগারো বার এসে লেগেছিল অস্ট্রেলীয় পেসারদের ডেলিভারি। কখনও বুকে, কখনও মাথায়, কখনও হাতে। কিন্তু চেতেশ্বর পুজারা অটল ছিলেন। আহত হয়েছেন, কিন্তু ময়দান ছেড়ে সরে যাননি। কী ছিল তাঁর পরিকল্পনা?
একটা শপথ নিয়ে গ্যাবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন পুজারা। কিছুতেই ক্যাচ দেওয়া চলবে না। যে কারণে শর্ট বলের বিরুদ্ধে চেষ্টা করে গিয়েছেন ব্যাটটাকে দূরে রাখতে। যা করতে গিয়ে শরীরে আঘাত লেগেছে। কিন্তু টলেননি। ২১১ বলে ৫৬ রান করে শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্থকে প্রত্যাঘাতের জমি তৈরি করে দিয়েছিলেন পুজারাই।
নিজের ওই ইনিংস নিয়ে একটি ইউটউব চ্যানেলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের এই স্তম্ভ বলেছেন, ‘‘আমার রণনীতিটা খুব পরিষ্কার ছিল ব্রিসবেন টেস্টের শেষ দিনে। প্রথম দু’ঘণ্টায় উইকেট দেওয়া চলবে না অস্ট্রেলিয়াকে। জানতাম, উইকেট পড়ে গেলে অস্ট্রেলিয়া আমাদের চাপে ফেলে দেবে।’’ যোগ করেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনাটা খেটে গিয়েছিল। লাঞ্চের আগে শুধু একটা উইকেট পড়ে। আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম, রান কম উঠলেও হবে। কিন্তু উইকেট দেব না। উইকেটে থাকলে পরের দিকে ঠিক রান তোলা যাবে।’’
একের পর এক চোট লাগা নিয়ে পুজারা বলেছেন, ‘‘কয়েক বার প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়েছিল। দ্বিতীয় বার যখন কাঁধের নীচে লাগল, তখন খুব ব্যথা করেছিল। তবে সব চেয়ে লেগেছিল, যখন বলটা আঙুলে লাগে। এর আগে মেলবোর্নে প্র্যাক্টিসের সময় ওই একই জায়গায় চোট লেগেছিল।’’পুজারার ব্যাটিং নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পুজারা সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামান না। তাঁর একটাই লক্ষ্য। ব্যাট করার সময় ভারতকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। পুজারার মন্তব্য, ‘‘ব্যাট করার সময় আমার লক্ষ্য থাকে দলের যাতে উপকার হয়, সে ভাবে খেলা। তাতে আমার ব্যাটিং কুৎসিত লাগতে পারে, মনে হতে পারে আমার অস্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু আমি জানি, দলের জন্য কোনটা ভাল। এত দিন ধরে টেস্ট খেলছি, এই দলটার সঙ্গে জড়িত আছি। দলের পক্ষে কোনটা খারাপ, কোনটা ভাল, এটা বুঝতে সমস্যা হয় না।’’
এ দিকে, আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য চেন্নাইয়ে পৌঁছে গেছে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার করোনা পরীক্ষার ফল সবার ‘নেগেটিভ’ এসেছে। তবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুশীলন শুরু হওয়ার আগে আরও দু’বার করোনা পরীক্ষা হবে ক্রিকেটারদের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে বোর্ডের একটি সূত্র। পাশাপাশি ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটারদের পরিবারের সঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছে।