বিনেশ ফোগাট। ছবি: পিটিআই।
অলিম্পিক্সে ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ার কারণে নিশ্চিত রুপো পাওয়া হয়নি তাঁর। বাতিল হয়ে গিয়েছিলেন প্রতিযোগিতা থেকেই। সেই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেছিলেন বিনেশ ফোগাটকে। কিন্তু বিনেশ ফোন ধরেননি। ঘটনার দেড় মাস পর জানালেন কুস্তিগির।
সেই ঘটনার পর অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কুস্তি থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন। হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন জুলনা আসন থেকে। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশে যাতে ওই ফোনালাপ ব্যবহার না করা হয় তাই তিনি ফোন ধরেননি।
বিনেশের কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর ফোন এলেও ধরিনি। ফোন সরাসরি আমার কাছে আসেনি। ভারতের যে সব কর্তারা ছিলেন তাঁরাই জানান প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি তৈরি ছিলাম। কিন্তু ওরা শর্ত দেন। জানান আমার দলের কেউ ফোনের সময় হাজির থাকতে পারবেন না। বাইরের দু’জন সেখানে থাকতে পারবেন যাতে সমাজমাধ্যমের জন্য সেই ফোনের কথাবার্তা রেকর্ড করতে পারেন। নিজের আবেগ এবং কঠোর পরিশ্রমকে সমাজমাধ্যমে মজার শিকার হতে চাইনি। তাই ফোন ধরিনি।”
বিনেশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ফোন করলে এবং কথাবার্তা জনসমক্ষে না আনার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি ফোন ধরতেন। বলেছেন, “যদি উনি ক্রীড়াবিদদের ব্যাপারে এতই ভাবতেন তা হলে রেকর্ডিং ছাড়াই কথা বলতে রাজি হতেন। হয়তো উনি জানতেন আমাকে ফোন করলে গত দু’বছরের কথা উঠবে। তাই জন্যই হয়তো আমার দলের কাউকে রাখতে চাননি। তা হলে কথাবার্তার ভিডিয়ো সম্পাদনা করে সমাজমাধ্যমে দিতে ওদের সুবিধা হত। আমার কাছে রেকর্ডিংয়ের কোনও সুযোগ ছিল না।”