মোহনবাগান দল। ছবি: সমাজমাধ্যম।
সূচি অনুযায়ী এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ মোহনবাগানের সঙ্গে ট্র্যাক্টর এসসি-র খেলা রয়েছে বুধবার। মোহনবাগান ইরানের তাবরিজ়ে খেলতে না যাওয়ায় বুধবারের ম্যাচ হচ্ছে না। নিরাপত্তার দোহাই দেখিয়ে খেলতে না যাওয়ায় বড় শাস্তির সম্ভাবনা রয়েছে মোহনবাগানের। আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি নির্বাসিতও করা হতে পারে।
কেন খেলতে যায়নি মোহনবাগান
মঙ্গলবার রাতে ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে মিসাইল আক্রমণ করেছে ইরান। সে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় ভারত-সহ বেশির ভাগ দেশের সরকারই তাদের জনগণকে ইরানে যেতে বারণ করছে।
মোহনবাগানের বেশির ভাগ বিদেশি অস্ট্রেলিয়ার। সে দেশের তরফে ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক খেলোয়াড় এবং তিন কোচিং স্টাফ স্পেনের। বাকিরা স্কটল্যান্ড এবং পর্তুগালের। সব দেশের তরফেই ইরানে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই জিনিস ভারতের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে।
বুধবারের ম্যাচে এক দিন আগে ৩৫ জন ফুটবলার স্বাক্ষর করা চিঠি দিয়ে ক্লাবকে জানান, এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ইরান যাওয়া সম্ভব নয়। মোহনবাগানের তরফে সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয় এএফসি-সহ বিদেশ মন্ত্রক ও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। একই সঙ্গে আবেদন করা হয়, ম্যাচের দিন পরিবর্তন অথবা নিরপেক্ষ কেন্দ্রে তা আয়োজন করার জন্য। মঙ্গলবার নির্ধারিত সূচি মেনেই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন ট্র্যাক্টর এসসি-র কোচ।
মোহনবাগানের বাড়তি সমস্যা
তবে মোহনবাগানের চাপ বাড়াচ্ছে অন্য একটি বিষয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটে সোমবার রাতে পার্সেপোলিসের বিরুদ্ধে খেলেছে পাখতাকোর। একই দিনে এসিএল ২-এ খেলা হয়েছে সেপাহান এবং ইস্তিকললের। দু’টি ম্যাচই হয়েছে ইরানের তেহরানে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির খুব একটা প্রভাব পড়েনি কোনও ম্যাচেই। তাই নিরাপত্তার দোহাই দেখিয়ে মোহনবাগানের ইরানে না যাওয়ার যুক্তি খাটছে না।
এএফসি কী বলছে
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এএফসি-র তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, ‘‘এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে ট্র্যাক্টর এসসি-র বিরুদ্ধে খেলতে ইচ্ছাকৃত ভাবে ইরান যায়নি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ২ অক্টোবর তাবরিজ়ের ইয়াদেগার ইমান স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। পুরো বিষয়টি নথিভুক্ত করে এএফসি-র সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সময় মতো জানানো হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।’’
আইন কী বলছে
এসিএল ২-এর আইন অনুযায়ী, মোহনবাগান না খেললে বিপক্ষকে তিন পয়েন্ট দেওয়া হবে এবং ৩-০ ফলে জয়ী ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া এএফসি-র নিয়মের ৫.৭.২.২ ধারা অনুযায়ী অন্তত ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। মোহনবাগানের তরফে দোষ খুঁজে পাওয়া গেলে একাধিক বছরের জন্য এএফসি থেকে নির্বাসিত করা হতে পারে।