সংঘাত: প্র্যাক্টিসে নেই, জরিমানা হতে পারে মেসির। ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসি বনাম বার্সেলোনা সংঘাত চলার মধ্যে উঠে আসছে আর্জেন্টিনীয় তারকাকে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আবেগ। এতটাই বাঁধনহারা মেসিকে নিয়ে আগ্রহ যে, স্টুটগার্টের ক্লাবের এক ভক্ত অনলাইনে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগও নিয়ে ফেলেছেন, মেসিকে তাঁদের ক্লাবে আনবেন বলে। টিম আর্টমান নামে এই ভক্ত ৯০০ মিলিয়ন ইউরো তোলার লক্ষ্য নিয়ে অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন। যাতে মেসিকে কিনে নেওয়া যেতে পারে বার্সা থেকে।
এর মধ্যেই মেসির পাশে দাঁড়িয়ে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আর্তুরো ভিদাল। স্পেনের একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিলির ৩৩ বছর বয়সি মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘‘প্রথম দলে একাধিক যুব দলের ফুটবলার আনা হয়েছে। অনেক বেশি কিছুই চাওয়া হচ্ছে মেসির থেকে।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার। অন্য গ্রহের ফুটবলার। কিন্তু ওকে সাহায্য করা দরকার। তবেই সেরা ফলটা পাওয়া সম্ভব।’’ ভিদালের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ফুটবল পাল্টে গিয়েছে। বার্সেলোনাকে অতীতে পড়ে থাকলে চলবে না। এখন ফুটবল অনেক বেশি শারীরিক। রণনীতির চেয়েও শক্তি ও গতির উপরে বেশি নির্ভরশীল। বার্সাকেও তাই চিন্তাধারা বদলাতে হবে।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘বার্সার যে সম্মান প্রাপ্য ছিল, গত তিন বছরে তা পায়নি। বিশ্বের সেরা দল কখনওই মাত্র ১৩ জন পেশাদার ফুটবলার দিয়ে চলতে পারে না। সব ম্যাচ জেতাও সম্ভব নয়।’’
বার্সার নবনিযুক্ত ম্যানেজার রোনাল্ড কোমান তরুণ ফুটবলারদের গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই কারণেই তিনি লুইস সুয়ারেস, ইভান রাকিতিচকে ছেঁটে ফেলেছেন। বাদের তালিকায় ভিদালও রয়েছেন। দল গঠনের পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ভিদাল। তাঁর মতে অ্যাকাডেমির ছাত্র নয়, অভিজ্ঞ ফুটবলার দরকার। সঙ্গে বার্সেলোনার তিকিতাকা পাসিং ফুটবলের যুগও শেষ কি না, সেই প্রশ্নও তুলে দিলেন। মেসি ইতিমধ্যেই ‘ফ্রি প্লেয়ার’ হিসেবে ক্লাব ছাড়তে চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন বার্সেলোনাকে। কিন্তু চুক্তির শর্ত ‘বাই আউট ক্লজ’ অনুযায়ী ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬১৪৪ কোটি) না দিলে তাঁকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বার্সা। রবিবার লা লিগার তরফেও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মেসিকে কিনতে গেলে এই টাকাটা বার্সাকে দিয়ে তবেই কেনা যাবে। ক্লাবের সঙ্গে সংঘাতে মেসি প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে আসেননি সঙ্গে করোনা-পরীক্ষাও করেননি। যে জন্য শোনা যাচ্ছে, তাঁর ১.১ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১১ কোটি টাকা) জরিমানা এবং নির্বাসনের শাস্তি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মেসির পাশেই দাঁড়িয়েছেন ভিদাল। বলেছেন, ‘‘কোনও ফুটবলার যদি ক্লাব ছাড়তে চায়, তা হলে তাকে আটকে না রেখে বিক্রি করে দেওয়া উচিত। প্রত্যেকেরই সম্মান প্রাপ্য।’’মেসির সঙ্গে বার্সার সংঘাত নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার জেহোম বোয়াতেং। জার্মানির একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু হওয়ার আগে মেসির শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল, ক্লাবের সঙ্গে ওর সমস্যা চলছে।’’