Indian Sports

বিশ্বের খেলাধুলোয় ইতিহাস ভারতের, নজির গড়লেন এ দেশের ভাইবোন

ভারতের তৃতীয় মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন বৈশালী। তিনি প্রজ্ঞানন্দের দিদি। একই সঙ্গে খেলা শুরু করলেও ভাইয়ের থেকে একটু বেশি সময় নিলেন তিনি। তাতে অবশ্য ইতিহাস তৈরি আটকাল না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:০৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিশ্ব তথা ভারতীয় দাবায় ইতিহাস। ভাইয়ের পর গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন দিদিও। ভারতের তৃতীয় মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন বৈশালী রমেশবাবু। তাঁর ভাই আগেই গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছেন। তাঁর নাম রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্বের প্রথম সহোদর ভাইবোন হিসাবে বৈশালী এবং প্রজ্ঞানন্দ গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন।

Advertisement

দাবা বিশ্বে প্রজ্ঞানন্দ এখন পরিচিত নাম। বিশ্বের তাবড় দাবাড়ুরা তাঁকে সমীহ করেন। ম্যাগনাস কার্লসেনের মতো খেলোয়াড়কেও হারতে হয়েছে তাঁর কাছে। এ বার গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন প্রজ্ঞানন্দর দিদি। কোনেরু হাম্পি এবং হারিকা দ্রোনাভাল্লির পর ভারতের তৃতীয় মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন বৈশালী। শুক্রবার স্পেনের একটি প্রতিযোগিতায় ২৫০০ ফিডে রেটিং অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন তিনি। গত কাতার ওপেনেই গ্র্যান্ডমাস্টারের তৃতীয় নর্ম পেয়েছিলেন। বাকি ছিল শুধু এলো রেটিংয়ে ২৫০০ পয়েন্ট স্পর্শ করা। বৈশালী প্রথম জিএম নর্ম পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে। ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে দাবা খেলছেন তিনি। ২২ বছরের ভারতীয় দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়েছেন তুরস্কের টামের তারিক সেলবেলকে। স্পেনের প্রতিযোগিতায় প্রথম দু’রাউন্ডেই জয় পেয়েছেন তিনি।

বৈশালী বলেছেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে। গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। কিন্তু এখানে সবে দু’রাউন্ড খেলা হয়েছে। আপাতত এই প্রতিযোগিতায় মন দিতে চাইছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘যখন দাবা খেলতে শুরু করেছিলাম, তখন থেকেই লক্ষ্য ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছনোর পর থেকে বেশ উত্তেজনা হচ্ছিল মনে মধ্যে। আবার কিছুটা চাপও লাগছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডের মাঝের কিছুটা সময় ভাল খেলতে পারিনি। তাই চাপটা বেশি লাগছিল। যাই হোক শেষ পর্যন্ত জিততে পেরেছি। এখন আমার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’’

Advertisement

মায়ের সঙ্গে বাঁ দিকে বৈশালী এবং ডান দিকে প্রজ্ঞানন্দ। — ফাইল চিত্র।

ভাইবোন একসঙ্গেই দাবা শিখতে শুরু করেছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার রমেশ আরবির চেন্নাইয়ের অ্যাকাডেমিতে। দু’জনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রমেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘দারুণ খুশির খবর। দু’জনেই প্রতি দিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা অনুশীলন করে। দু’জনেই প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে পারে। নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্য স্থির করে না ওরা। সব ম্যাচ জিততে চায় দু’জনেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement