অদম্য মনোজদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে আল্টিমেট খো খো

খো খো-র সঙ্গে মনোজের প্রথম পরিচয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর প্রতিভা নজরে পড়ে যায় সবার। ঠিক তার পরের বছরেই জুনিয়র পর্যায়ে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হন মনোজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:২৩
Share:

উড়ন্ত: সেই দৃষ্টিনন্দন স্কাইডাইভ দেখা যাবে খো খো লিগে। নিজস্ব চিত্র

শত বাধাও খো খো থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি বাংলার মনোজ সরকারকে। সুযোগ সুবিধা বা পরিকাঠামোর অভাবও দমিয়ে রাখতে পারেনি তাঁর অদম্য জেদকে। মনের জোর থাকলে কোথায় যাওয়া যায়, তাঁর বড় উদাহরণ বাস মেকানিকের ছেলে মনোজ।

Advertisement

খো খো-র সঙ্গে মনোজের প্রথম পরিচয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর প্রতিভা নজরে পড়ে যায় সবার। ঠিক তার পরের বছরেই জুনিয়র পর্যায়ে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হন মনোজ। জুনিয়র পর্যায়ে এই সাফল্যে মনোজকে উৎসাহিত করে পেশাদার খো খো খেলোয়াড় হয়ে উঠতে। ২০১১ ফেডারেশন কাপে সিনিয়র পর্যায়ে অভিষেক হয় মনোজের। তখন তাঁর বয়স ১৮। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন সে বার মনোজ। এই সাফল্য ২০১৪ সালে সিনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে মনোজকে তাঁর প্রতিভা দেখানোর সুযোগ করে দেয়। এর পরে ছ’বার জাতীয় চ্যাম্পয়নশিপে খেলেন মনোজ।

তবে ২০১৬ সাফ গেমসে একটুর জন্য খেলার সুযোগ ফস্কায় মনোজের। সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসেন মনোজ। সেই বছরেই তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা খেলেন ইনদওরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০১৮ সালে মনোজ এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দফতরে চাকরি পান। ফের সুযোগ আসে তাঁর সামনে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার। কিন্তু এর পরেই খো খো দল তুলে দেওয়া হয়। ফলে তাঁকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

Advertisement

তবুও খো খো নিয়ে আশা ছাড়েননি মনোজ। নতুন কোনও প্রতিযোগিতা উঠে আসার দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে আল্টিমেট খো খো লিগ। তিনি নিশ্চিত এই প্রতিযোগিতা তাঁর মতোই অনেক খো খো খেলোয়াড়ের সামনে নতুন সুযোগ এনে দেবে এবং দেশে খো খো খেলার সংস্কৃতি তৈরি করবে। তার চেয়েও বড় কথা তাঁর আশা এই লিগ বাংলা থেকে তুলে আনবে আরও নতুন নতুন প্রতিভা।

ভারতের অতি জনপ্রিয় এই খেলাকে নতুন ভাবে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসতে এ বার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সর্বভারতীয় খো খো সংস্থা। আল্টিমেট খো খো লিগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আয়োজকরা এ বার ফর্ম্যাটে কিছু পরিবর্তনও করেছেন। আগে এক একটি রাউন্ডের ম্যাচ হত নয় মিনিটের। তা কমিয়ে সাত মিনিট করা হয়েছে। মোট চারটি রাউন্ড খেলা হবে দুই ইনিংসে। অর্থাৎ এক একটি ম্যাচ হবে ২৮ মিনিটের। পাশাপাশি আল্টিমেট খো খোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একজন ‘মন্ত্রী’কে আনা হচ্ছে, যিনি উইংয়ের বাঁ দিক অথবা ডান দিক থেকে দৌড়তে পারবেন। কিন্তু সেন্টার লাইন অতিক্রম করতে পারবেন না। বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমাধান করতে ক্রিকেটের মতো এখানেও থাকছে রিভিউ সিস্টেম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement