গোল করছেন রোনাল্ডো টুইটার
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ভুল করলেন। আবার সেই 'সি আর সেভেন' নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্তও করলেন। একই ম্যাচে। তফাৎ শুধু দুই অর্ধের। আর তাঁর ভুল শুধরে নেওয়ার জন্যই হাঙ্গেরিকে ০-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপ অভিযান শুরু করল পর্তুগাল।
প্রথমার্ধে ফাঁকা তেকাঠির মাত্র কয়েক হাত দূর থেকে বিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া! কিন্তু তিনি যে আক্ষরিক অর্থে যোদ্ধা। তাই তো সুযোগ হাতছাড়া করলেও ফের জ্বলে ওঠেন। ঠিক যেন ক্ষুধার্থ বাঘের মতো।
দ্বিতীয়ার্ধের মোক্ষম সময় যেন রক্তের স্বাদ পেয়েছিলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। প্রথমটি এল পেনাল্টি থেকে। ওয়ান-টু-ওয়ানের পর গোলরক্ষককে ডান দিক-বাঁ দিক কাটিয়ে মাটিতে ফেলে দ্বিতীয় গোল এল এর কিছুক্ষণ পর।
২০১৬ সালের ইউরো জয়ী পর্তুগাল লিগের ম্যাচে এই হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছিল। এই ৭ নম্বর জার্সিধারী জোড়া গোল করার পরেও খেলার ফলাফল ছিল ৩-৩। আর এ বার যেন সেই ম্যাচের বদলা নিলেন। এ বারও জোড়া গোল করলেন। তবে শেষ ১০ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেল হাঙ্গেরি।
তবে সত্য হল, এই জয় সহজে আসেনি মোটেই। ৮৩ মিনিট পর্যন্ত খেলা ছিল গোলশূন্য। এরপর ভাগ্যের জোরে পর্তুগালের এগিয়ে যাওয়া! গোলের জন্য অ্যাসিস্ট ডিফ্লেকশন থেকে রাফায়েলের গোলটাও এল সেই ডিফ্লেকশন থেকেই।
তারপরেই শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন এই মহা তারকা। দারুণ ফুটবল খেলে ফিফা তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকা পর্তুগালকে চাপে রাখা হাঙ্গেরি হঠাৎ রোনাল্ডোর আগুনে ঝলসে গেল!
১১ গোল করে ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার সিংহাসনটা একক ভাবে নিজের করে নিলেন। পিছনে ফেলে দিলেন ফ্রান্সের প্রবাদপ্রতিম মিশেল প্লাতিনিকে।
একই সঙ্গে এই কীর্তি গড়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক গোলদাতার সিংহাসনের আরও একটু কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন তিনি। কারণ রোনাল্ডোর গোল সংখ্যা ১০৬। ইরানের আলি দায়ির ১০৯ গোলের থেকে মাত্র ৩ গোল দূরে। চলতি ইউরোতে এখনও জার্মানি ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়াই বাকি। সেই দুটো ম্যাচে গোল করে কি সিংহাসনে বসবেন!
সি আর সেভেন শুধু দলকে জিতিয়ে ইউরো শুরু করলেন না, বাকি দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি, নেমারকে দূর থেকে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে দিলেন। কারণ কোপা আমেরিকায় এই দুজনও প্রথম ম্যাচেই খাতা খুলে ফেলেছেন।