ফাইল চিত্র।
একশো বছরে পা রাখতে চলেছে একদল বাঙালির আবেগ। ১ অগস্ট ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের উদ্যাপন শুরু হতে চলেছে। চিমা ওকোরি, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইচুং ভুটিয়াদের মতো তারকারা ওই দলের হয়ে খেলেছেন। কলকাতার ময়দানে সেই দলের জার্সি গায়ে উঠিয়ে নিয়েছিলেন শিলিগুড়ির এক সময়কার দুই তরুণ মনজিৎ সিংহ এবং কৌস্তভ ঘোষ। দলের হয়ে বল পায়ে বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানানোর ঝলক দেখা গিয়েছে মনজিৎ, কৌস্তভদের পায়েও।
কলকাতা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে সেবক রোডের দুই মাইল এলাকায় শনিবার সন্ধেয় নিজের ধাবায় বসে এই কথাই ভাবছিলেন মনজিৎ। এখন এই ধাবার ব্যবসায় ব্যস্ত তিনি।
মনজিৎ জানান, স্মৃতির ঝাঁপি খুললেই চোখের সামনে সে সময়ের কথা ভেসে ওঠে। জানান, ১৯৯৬ সালে ইস্টবেঙ্গলে খেলার সুযোগ আসে। তখন অসমের উইলিয়ামসন মেঘর অ্যাকাডেমিতে ছিলেন। শ্যাম থাপা সেখানকার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন। শ্যাম থাপাই সাই থেকে তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। রাজ্য বদলের শংসাপত্র না মেলায় এক বছর পিছিয়েই সুযোগ পান লাল-হলুদে। মাঠে নামার সুযোগ পেতে পেতেই কলকাতা লিগের ১২টা ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। সব চেয়ে বেশি মনে আছে কলকাতা লিগে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে খেলার কথা। ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল লাল-হলুদ। মনজিৎ-ই এক গোল করে ম্যাচ ড্র করেন। সে দিন সমর্থকেরা কাঁধে তুলে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিল। সেদিন লাল-হলুদ শিবিরে ফুটবল প্রেমীদের এই ভালবাসার স্পর্শ পেয়েছিলেন। মনজিতের কথায়, ‘‘এখনও যেটুকু সম্মান পেয়েছি ফুটবলের জন্য, লাল-হলুদের জন্যই।’’ তিন বছর ইস্টবেঙ্গলে খেলেন মনজিৎ।
অার এক ফুটবলার কৌস্তভ ঘোষ শিলিগুড়ির শিবমন্দিরের বাসিন্দা। এখন কলকাতাতেই থাকেন। কৌস্তভের বাবা পল্লবকুমার ঘোষ এবং মনজিতের বাবা পেয়ারা সিংহ— দু’জনেই ইস্টবেঙ্গলের ভক্ত। কৌস্তভের কথায়, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের একশো বছর! ওই দলে খেলার স্মৃতি এখনও যেন তরতাজা। এটা একটা দারুণ অনুভূতি।’’ তিনি জানান, ২০০০-২০০১ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছেন। তার আগে চার্চিল ব্রাদার্সে ছিলেন দুই বছর। তখন অনেক বাঘা বাঘা স্ট্রাইকার। অন্তত ১০ ম্যাচ খেলেছেন লাল-হলুদের। বলতে চাইলে অনেক কথা। একবারে বলে শেষ করা যায় না।