ক্ষোভ: গোল করে এ ভাবেই ফ্লয়েড-হত্যার প্রতিবাদ জানান মার্সেলো। রয়টার্স
রবিবার রাতে লা লিগায় এইবারের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোল করেই হাঁটু মুড়ে মাঠে বসে পড়লেন মার্সেলো রিভেরা। তার পরে ডান হাত মুঠো করে শূন্যে তুললেন। আমেরিকায় মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের খুনের প্রতিবাদ এ ভাবেই করলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
মার্সেলোর প্রতিবাদের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের বিতর্কে জড়ালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বছর তিনেক আগে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ তোলায় এনএফএল বরখাস্ত করেছিল আমেরিকান ফুটবলের তারকা কলিন কেপারনিককে। জাতীয় সঙ্গীতের সময় হাঁটু মুড়ে বসে সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন মেয়েদের আমেরিকার সকার দলের অধিনায়ক মেগান র্যাপিনো। তার পরেই ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছিলেন, জাতীয় সঙ্গীতের সময় ফুটবলারদের দাঁড়িয়ে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ঘটনায় ক্রীড়াবিদেরা যে ভাবে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, তাতে একেবারেই স্বস্তিতে নেই ট্রাম্প। তাঁর আশঙ্কা, তিন বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। সম্প্রতি টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ‘‘আমি আর দেখবই না।’’ এখানেই শেষ নয়। তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির ফ্লরিডার প্রতিনিধি ম্যাট গেৎজ়ের একটি টুইটও তিনি রিটুইট করেন। তাতে লেখা ছিল, ‘‘ফুটবলারেরা যদি জাতীয় সঙ্গীতের সময় দাঁড়াতেই না পারে, তা হলে ফুটবল দল না রাখাই ভাল।’’
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা যে ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নয়, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে। সোমবার ফিফার তরফে ফুটবলারদের কাছে আবেদন করা হয়, ‘‘পরস্পরকে সম্মান করতে হবে। ধৈর্যশক্তি বাড়াতে হবে। সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগ করতে হবে।’’ ট্রাম্পের টুইটের প্রতিক্রিয়ায় ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো খোলাখুলি বলেছেন, ‘‘বর্ণবৈষম্য, ভেদাভেদ ও হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার যে ফুটবলারদের রয়েছে, সপ্তাহ দু’য়েক আগেই জানিয়েছিলাম। সেই সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হয়নি।’’
আরও পড়ুন: নেতা হিসাবে এখনও কিছুই অর্জন করেননি বিরাট, তীব্র আক্রমণ গম্ভীরের