রাহিম স্টার্লিং এবং আন্দ্রে ইয়ারমোলেঙ্কো
জার্মানির বিরুদ্ধে ২-০ জয়ের পর থেকেই মনে হচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেরা সুযোগ ইংল্যান্ডের সামনে। কারণ, এ বার গ্যারেথ সাউথগেটের দলের রক্ষণভাগ অসাধারণ খেলছে। কিন্তু আজ, শনিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে খেলা হবে রোমে। তাই ওয়েম্বলির সেই পরিবেশটা পাবে না হ্যারি কেন-রা।
আধুনিক ফুটবলে রক্ষণ শক্তিশালী না হলে সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন। এখনও পর্যন্ত একটিও গোল খায়নি ইংল্যান্ড। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডও দারুণ ছন্দে রয়েছে। সমস্যাটা একটু ছিল আক্রমণ ভাগে। কারণ, এক নম্বর স্ট্রাইকার হ্যারি কেন ছন্দে ছিল না। একা রাহিম স্টার্লিংয়ের পক্ষে সব ম্যাচে গোল করে দলকে জেতানো সম্ভব নয়। জার্মানির বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড অধিনায়ক গোল পাওয়ায় সেই সমস্যাও অনেকটাই দূর হয়েছে। সাউথগেটের সঙ্গে আমরাও এখনও চিন্তামুক্ত। এ বার প্রতিপক্ষ ইউক্রেন। ফিফা ক্রমতালিকায় এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড চতুর্থ স্থানে। ২৪ নম্বরে রয়েছে ইউক্রেন। তাই অনেকেই মনে করছেন শনিবার সহজেই জিতবে স্টার্লিংরা। আমি কিন্তু তাঁদের সঙ্গে একমত নই। প্রথম বার ইউরোর শেষ আটে ওঠা ইউক্রেনের চেয়ে শক্তিতে ইংল্যান্ড অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচের ক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্সকেও সকলে এগিয়ে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল, তা সকলেই দেখেছেন। অবশ্য এর জন্য ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশঁ-ও দায়ী। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে রাতারাতি রণকৌশল বদলে ফেলেছিলেন। তিন ডিফেন্ডারে খেলায় দুর্বল হয়ে গিয়েছিল ফ্রান্সের রক্ষণ। সাউথগেট তা করবে বলেও মনে হয় না। ইংল্যান্ডের কোচ খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষপাতী নয়। প্রতিপক্ষ যখন ইউক্রেন, তখন রক্ষণ দুর্বল করে খেলার ঝুঁকি কখনওই নেবে না সাউথগেট।
আমি মনে করি, ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। শনিবার রোমে ইংল্যান্ডের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত গোল না খাওয়া। ফুটবলজীবনে শেভচেঙ্কো শুধু অসাধারণ স্ট্রাইকার ছিল না, প্রচণ্ড লড়াই করত। এই হার-না-মানসিকতা ও ছড়িয়ে দিয়েছে ফুটবলারদের মধ্যেও। তার ফলেই সুইডেনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে শেষ মুহূর্তে গোল করে আর্তেম দোবিক জিতিয়েছিল। এ বছরই ইউক্রেনের সিনিয়র দলে অভিষেক হয়েছে ওর। দারুণ প্রতিভাবান স্ট্রাইকার। জন স্টোনসদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। দুই) ইউক্রেনের ফুটবলারেরা শারীরিক ভাবে খুব শক্তিশালী। তিন) ইংল্যান্ড গতিশীল ফুটবল খেললেও সেট-পিসে গোল করার চেষ্টা করতে হবে। আমি নিশ্চিত, ইংল্যান্ডকে আটকাতে ইউক্রেন শুরু থেকেই রক্ষণে ফুটবলারের সংখ্যা বাড়িয়ে খেলবে। এই ম্যাচে ওদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে গোল বাঁচিয়ে প্রতিআক্রমণে ওঠা। তাই সরাসরি গোল করার সুযোগ কম পাওয়া যাবে।