মেরি না জারিন, চিন যাবেন কে ঠিক হবে আজ

শুক্রবার দিল্লিতে মেয়েদের ৫১ কেজি বিভাগের ট্রায়ালে মেরি এবং জারিন দু’জনেই প্রথম রাউন্ডে জিতে ফাইনালে উঠেছেন। তেলঙ্গানার বক্সার জারিন হারিয়েছেন জাতীয় সেরা জ্যোতি গুলিয়াকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:১০
Share:

যুযুধান: জাতীয় ট্রায়ালে ফাইনালে ওঠার পরে মেরি। (ডান দিকে) প্রতিপক্ষ এ বার জারিন। পিটিআই, টুইটার

টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের প্রতিযোগিতায় চিনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন কে? ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেরি কম, না কি প্রাক্তন জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিখাত জারিন—আজ, শনিবার তা ঠিক হয়ে যাবে।

Advertisement

শুক্রবার দিল্লিতে মেয়েদের ৫১ কেজি বিভাগের ট্রায়ালে মেরি এবং জারিন দু’জনেই প্রথম রাউন্ডে জিতে ফাইনালে উঠেছেন। তেলঙ্গানার বক্সার জারিন হারিয়েছেন জাতীয় সেরা জ্যোতি গুলিয়াকে। মণিপুরের কিংবদন্তি মেরি কম জেতেন ঋতু গ্রেওয়ালের বিরুদ্ধে। মেরি বনাম জারিনের ফাইনাল দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। কারণ ইতিমধ্যেই দুই মহিলা বক্সার একে অপরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রেখেছেন। জারিন যেমন এ দিন বলেছেন, ‘‘মেরি জিতেছে ঠিক। কিন্তু ও নিজের সেরা ফর্মে নেই। ফাইনালে নামার জন্য অপেক্ষা করছি। এই দিনটার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করে আছি। এটা আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি একশো ভাগ দেব।’’ মেরি অবশ্য আগেই বলে রেখেছেন, ‘‘জারিনের বিরুদ্ধে লড়তে ভয় পাই না। সাফ গেমসের পরে ওকে বহুবার হারিয়েছি। আবার চ্যালেঞ্জ করছে। ওর সঙ্গে লড়া মানে নিয়মরক্ষা। ফেডারেশন জানে, কে অলিম্পিক্স থেকে পদক পেতে পারে।’’ মেরির এ দিনের ফর্ম দেখে অবশ্য পারফরম্যান্স ডিরেক্টর রাফেলে বার্গামাস্কো খুশি নন। তিনি বলেছেন, ‘‘মেরির লড়াই দেখেছি। স্কোরিংয়ের দিক দিয়ে দেখলে নিজেকে দক্ষতার তুঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি।’’

চিনে যোগ্যতা অর্জনের প্রতিযোগিতা হবে নতুন বছরের ৩-১৪ ফেব্রুয়ারি। সেখানে যাওয়ার জন্য মেরি কমকে সরাসরি নির্বাচিত করার ইঙ্গিত দিয়ে বির্তকে জড়িয়েছিল সর্বভারতীয় বক্সিং সংস্থা (বিএফআই)। সংস্থার সচিব অজয় সিংহ একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘মেরি কমের ধারাবাহিক সাফল্যের কথা মনে রেখে তাকেই চিনে পাঠানো হবে। কোনও ট্রায়াল হবে না।’’ এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবং নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন চেয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে চিঠি লিখেছিলেন জারিন। দল নিয়ে হস্তক্ষেপ না করলেও রিজিজু ফেডারেশনকে অনুরোধ করেন নিরপেক্ষ এবং পক্ষপাতহীন ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। এর পরে ট্রায়ালের ব্যবস্থা করে বিএফআই।

Advertisement

মেয়েদের বিভাগে মোট পাঁচটি বিভাগের ট্রায়াল হয় এ দিন। ৫১ কেজি, ৫৭ কেজি, ৬০ কেজি, ৬৯ কেজি এবং ৭৫ কেজি। মেয়েদের ৫৭ কেজি বিভাগে জেতেন সাক্ষী চৌধরী। বিশ্ব যুব বক্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন সাক্ষী হারান এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের রুপো জয়ী মণীষা মাউনকে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ সনিয়া লাথের।

৬০ কেজি বিভাগে সিমরণজিৎ কৌর হারান পবিত্রাকে। ফাইনালে তাঁর সামনে প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সরিতা দেবী। সরিতা এদিন হারান শশী চোপড়াকে। ৭৫ কেজি বিভাগে পুজা রানি হারান ইন্দ্রজাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement