সরব টোনি। ফাইল ছবি
কাতারে বিশ্বকাপের আয়োজন করতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে একের পর এক দেশকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ জার্সি পরে প্রতিবাদ করেছেন নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানির ফুটবলাররা। এই প্রথম মুখ খুলতে দেখা গেল এক ফুটবলারকে। কাতারে পরিযায়ী শ্রমিকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হলেন টোনি খুস। তবে বিশ্বকাপ বয়কট করার কথা বলছেন না তিনি।
ভাই ফেলিক্সের সঙ্গে একটি পডকাস্টে টোনি বলেছেন, “অনেক কারণেই কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজন করতে দেওয়া উচিত হয়নি।” কেন? তাঁর সপক্ষে টোনির ব্যাখ্যা, “প্রথমত, শ্রমিকদের অবস্থা ভাল নয়। দ্বিতীয়ত, কাতারে সমকামিতা অপরাধ এবং শাস্তিযোগ্য। পাশাপাশি, ওরা ফুটবল খেলিয়ে দেশও নয়।”
শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে বেশি সরব টোনি। বলেছেন, “অনেক শ্রমিক ওখানে কোনও বিরতি না পেয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলেও। অনেক সময় খাবার এবং জলও পাওয়া যাচ্ছে না, যা এই ধরনের তাপমাত্রায় ভাবাই যায় না। চিকিৎসার কোনও সুবিধা নেই। শ্রমিকদের উপরে হিংসাত্মক আচরণ করা হচ্ছে। এগুলো একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।” যদিও কাতারের কর্তৃপক্ষের তরফে একথা অস্বীকার করা হয়েছে।
টোনি বলেছেন, বিশ্বকাপ বয়কট না করে বরং সেখানে প্রতিবাদ জানালে তা অনেক বেশি কার্যকরী হবে। বলেছেন, “বয়কট করলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। তবে প্রতিবাদ জানালে অনেক বেশি কাজে দিতে পারে।”