হেরে মাথা নিচু টিমো ওয়ার্নারের ছবি রয়টার্স
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায় ২০ বছর পর এই প্রথম হারল জার্মানি। তা-ও সেই হার এসেছে উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ১-২ ব্যবধানে জার্মানি হারায় চাপ আরও বেড়েছে কোচ ওয়াকিম লো-র উপরে।
প্রথমার্ধে গোরান পান্ডেভের গোলে এগিয়ে যায় উত্তর ম্যাসিডোনিয়া। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান ইলখাই গুন্ডোয়ান। ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে জয়সূচক গোল এলজিফ এলমাসের। ডুইসবার্গে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর কোচ লো বলেছেন, “এই হতাশা বলে বোঝানো যাবে না। আমাদের কাছে এটা বিরাট ধাক্কা। এত ভুল করেছি তার হিসেব নেই। ওদের ডিফেন্স ভাঙতেই পারলাম না।”
১৯৩০-এর বিশ্বকাপে খেলেনি জার্মানি। ১৯৫০-এ নির্বাসিত ছিল। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপ জে-তে তিন নম্বরে তারা। টানা ১৮ ম্যাচ জয়ের ধারাও থমকে গেল। শেষ বার এই প্রতিযোগিতায় ২০০১-এ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-৫ হেরেছিল জার্মানি। তার থেকে বড় ব্যাপার, ইউরোর যোগ্যতা অর্জনের খেলায় ফ্রান্স এবং পতুর্গালের মতো দলের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
গ্রুপ ডি-তে বুধবার কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ফ্রান্স। আঁতোয়া গ্রিজম্যানের একমাত্র গোলে হারিয়েছে বসনিয়াকে। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় চারে উঠে এলেন গ্রিজম্যান। পেরোলেন ডেভিড ত্রেজেগুয়েকে। অন্যদিকে, দেশের জার্সিতে ১২৩তম ম্যাচ খেললেন গোলকিপার তথা অধিনায়ক উগো লরিস। থিয়েরি অঁরির সঙ্গে যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানে। সামনে শুধু লিলিয়ান থুরঁ।