বন্দনা পাশে পেয়েছিলেন তাঁর বাবাকে। ছবি: পিটিআই
তুমি মেয়ে। মেয়েরা হকি খেলে না। ছোটবেলায় এই ধরনের কথাই শুনতে হত মেয়েদের অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করা বন্দনা কাটারিয়াকে। তাই বড়দের লুকিয়ে গাছের ডাল নিয়েই অনুশীলন করতেন উত্তরাখণ্ডের রোষনাবাদ গ্রামের এই মেয়ে।
সবাই যখন তাঁর খেলার প্রতি আগ্রহকে নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তখন বন্দনা পাশে পেয়েছিলেন তাঁর বাবাকে। প্রাক্তন কুস্তিগীর নহর সিংহ কাটারিয়া উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন মেয়েকে। তিন মাস আগে মারা গিয়েছেন তিনি। ভারতীয় দলের হয়ে অনুশীলনে থাকায় সেই সময় বাড়ি ফিরতে পারেননি বন্দনা।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বন্দনার দাদা শেখর বলেন, “আমরা নয় ভাই, বোন। ঠাকুমা বন্দনাকে বাড়ির কাজে মন দিতে বলত। রান্না শিখতে বলত। খেলে সময় নষ্ট করতে বারণ করত।” গ্রামের অনেকেই পছন্দ করতেন না মেয়েরা ছেলেদের মতো খেলায় যোগ দিক। শেখর বলেন, “তবে বাবা উৎসাহ দিত বন্দনাকে।” ২০০০ সালে রোষনাবাদে স্টেডিয়াম তৈরি হয়। শেখরের দাবি তারপরেই বদলে গেল গ্রামের মেয়েদের জীবন। সেই সঙ্গে বন্দনারও।
স্কুলের হয়ে একটি প্রতিযোগিতায় খেলার সময় প্রশিক্ষক প্রদীপ ছিন্যতির নজরে আসেন বন্দনা। শনিবার হ্যাটট্রিক করার পর বন্দনার গোটা গ্রাম উৎসবে মেতে ওঠে। যে মেয়েকে খেলতে বাধা দিয়েছিল গ্রাম, তাঁর সাফল্যই বাজি ফাটিয়ে, গান গেয়ে উদযাপন করা হয়।