তামবেরি ও বারশিম টুইটার
অলিম্পিক্সের মঞ্চে খেলোয়াড় সুলভ আচরণের পরিচয় দিলেন কাতারের মুমতাজ বারশিম। পুরুষদের হাইজাম্পের ফাইনালে সোনার পদক ভাগ করে নিলেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ইটালির জিয়ানমার্কো তামবেরির সঙ্গে। ২.৩৭ মিটার ঝাঁপ দেন দু’জনেই।
দুই প্রতিযোগীর মধ্যে সোনা কে পাবেন তা ঠিক করতে ওয়ান অফ জাম্প (টাইব্রেকার) প্রস্তুতি শুরু হয়। টাইব্রেকারের নিয়মকানুন দুই প্রতিযোগীকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন এক আধিকারিক। তখনই প্রস্তাব দেন বারশিম। আধিকারিককে বারশিম প্রশ্ন করেন, ‘‘আমরা কি দু’টো সোনা পেতে পারি?’’ এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ওই আধিকারিক।
আসলে গত অলিম্পিক্সের পর গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন তামবেরি। সেই সময় তাঁর খেলোয়াড় জীবনই প্রায় শেষ হয়ে যেতে বসেছিল। তাও কোনও ভাবে প্যারিসে ডায়মণ্ড লিগে যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেন তিনি। তবে সেই প্রতিযোগিতায় ঠিক ভাবে লাফই দিতে পারছিলেন না তিনি। তাঁর উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছিলেন বারসিম। তামবেরিকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনেন তিনিই। ফের সেই বন্ধুত্বের নমুনা রাখলেন দু’জনেই।
ফল ঘোষণার পরই তামবেরি ও বারশিম একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। তামবেরি বুঝতে পারছিলেন না কী করা উচিত। কখনো ট্র্যাকের ওপর শুয়ে পড়ছেন তো কখনও ছুটে যাচ্ছেন গ্যালারির দিকে। অন্যদিকে বারশিম ছিলেন অনেক শান্ত। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে।
বারসিম বলেন, ‘‘আমরা খুব ভাল বন্ধু। একে অপরের দিকে তাকিয়েই ঠিক করে নিই এই প্রস্তাব দেব। আমাদের দুজনের স্বপ্নই সার্থক হল।’’
এই বিভাগে রূপোর পদক দেওয়া হয়নি। ব্রোঞ্জ পান নেকাডেসাউ। হাইজাম্পে অংশ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার মিশেল স্টার্কের ভাই ব্র্যান্ডন স্টার্কও। পঞ্চম স্থানে শেষ করেন তিনি।