নজরে: গেমস ভিলেজে খাবার টেবিলে মেরি কম। সাই সাই
টোকিয়ো পৌঁছেছিলেন রবিবার সকালে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরা।
শনিবারই টোকিয়ো গিয়েছে ভারতের অলিম্পিক্সগামী প্রথম দল। বিমানবন্দরে নামার পরে সেখানে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত যাবতীয় পরীক্ষা ও সুরক্ষাবিধি মেনে গেমস ভিলেজে রবিবারেই ঢুকে পড়েছিলেন তাঁরা। সোমবার সকালেই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিরন্দাজ দম্পতি অতনু দাস ও দীপিকা কুমারি, শরৎ কমল-সহ বাকি টেবল টেনিস খেলোয়াড় ও ব্যাডমিন্টনের পি ভি সিন্ধু, বি সাই প্রণীতরা। কোচ সৌম্যদীপ রায় ও লক্ষ্মণ মনোহর শর্মাকে নিয়ে প্রস্তুতিতে মগ্ন ছিলেন বাংলার দুই মহিলা ক্রীড়াবিদ টেবল টেনিসের সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ও জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েকও। ব্যাডমিন্টনে সিঙ্গলস কোচ পার্ক তে সাং-এর সঙ্গে মহড়ায় ছিলেন সিন্ধু ও প্রণীত। ডাবলস জুটি চিরাগ শেট্টি ও সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি অনুশীলন করেন তাঁদের কোচ ম্যাথিয়াস বো-এর সঙ্গে। মহড়া দিয়েছেন ভারতীয় রোয়িং ও
শুটিং দলের সদস্যেরাও।
অতনু ও দীপিকারা এ দিন সকালে চলে গিয়েছিলেন ইয়ুমেনোশিমা পার্কে। সেখানে অনুশীলনের পরে দীপিকা বলেন, ‘‘গত দু’টি অলিম্পিক্সে পদক হাতছাড়া হয়েছিল। তাই এ বার পদক পেয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পরীক্ষা যে, আমিও পারি।’’ এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর মহিলা তিরন্দাজ দীপিকা এর আগে ২০১২ সালে লন্ডন ও ২০১৬ সালে রিয়ো অলিম্পিক্সে কোনও পদক পাননি। যোগ করেছেন, ‘‘অলিম্পিক্সে কোনও ভারতীয় তিরন্দাজ পদক পাননি এ পর্যন্ত। তাই এ বার পদক পেয়ে নজির তৈরি করতে চাই। সে কারণেই এই অলিম্পিক্স আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে তিরন্দাজিতে সোনা পাওয়ার পরে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সের আগেও দীপিকার র্যাঙ্কিং ছিল এক নম্বর। কিন্তু লন্ডনে তিনি প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিলেন। যে প্রসঙ্গে এই মহিলা তিরন্দাজ বলেছেন, ‘‘আমার প্রথম অলিম্পিক্সের সময়ও এক নম্বরেই ছিলাম। তখনও অলিম্পিক্সের মতো বিশাল ব্যাপারটা বুঝতে সময় লেগেছিল। কিন্তু তার পরে অনেক সময় পেরিয়ে এসেছি। কঠোর পরিশ্রমের ফলেই সাফল্য মিলেছে।’’
মহড়া শুরু প্রণতির সাই
মহিলাদের রিকার্ভ দল অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় টোকিয়োতে ব্যক্তিগত বিভাগেই নামবেন দীপিকা। শনিবার মিক্সড পেয়ার ইভেন্টে নামবেন তিনি। ২৭ জুলাই শুরু হবে মহিলাদের ব্যক্তিগত
বিভাগের তিরন্দাজি।
ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের জন্য খুশির খবর, আয়োজকেরা প্রথমে জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে টোকিয়োতে পা দেওয়ার পরে তিন দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। পরে সেই নিয়ম তুলে নেওয়ায় জাপানে গিয়েই প্রস্তুতি শুরু করতে পেরেছেন ক্রীড়াবিদেরা। রবিবার বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার পরে এ দিন ডাইনিং হল এবং জিমন্যাসিয়াম ব্যবহার করতে কোনও অসুবিধা হয়নি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের। গেমস ভিলেজে খাবারদাবার বা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি তাঁদের। কেবল গরম জলের জন্য ১০০ বৈদ্যুতিন কেটলির অর্ডার গিয়েছে ভারতীয় দূতাবাসে।