Tokyo Olympics

Tokyo Olympics: সিন্ধুসভ্যতায় বার বার হানা দেওয়া দমকলকর্মীর মেয়ে এখন দাঁড়িয়ে পদক এবং সিন্ধুর মাঝে

মাত্র ২২ বছর বয়সে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন তারকার মুকুট উঠেছিল তাঁর মাথায়। এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর শাটলারও তিনি।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৯:০৭
Share:

চাইনিজ তাইপেইয়ের তাই জু-ইং। ছবি: রয়টার্স

টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে ভারতের পি ভি সিন্ধু। উল্টো দিকে চাইনিজ তাইপেইয়ের তাই জু-ইং। ২৭ বছরের এই খেলোয়াড়ই এখন বাধা ফাইনালের আগে। এর আগে ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছেন দু’জনে। যার মধ্যে মাত্র পাঁচ বার জয় পেয়েছেন সিন্ধু। ১৩ বার হারতে হয়েছে তাঁকে।

তাই জু-ইং, মাত্র ২২ বছর বয়সে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন তারকার মুকুট উঠেছিল তাঁর মাথায়। সব থেকে বেশি সময় (১৭০ সপ্তাহ) মেয়েদের ব্যাডমিন্টনে সিঙ্গলসে এক নম্বর থাকার রেকর্ডের পালকও রয়েছে সেই মুকুটে। এই মুহূর্তেও বিশ্বের এক নম্বর শাটলার তিনিই।

Advertisement

বাবা দমকলে কাজ করেন। সেই সঙ্গে কাওসিউং শহরের ব্যাডমিন্টন প্রধান। লড়াইয়ের সাহস এবং ব্যাডমিন্টন, দুটোই যেন রক্তে নিয়ে জন্মেছেন তাই জু-ইং। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “খুব ছোটবেলায় ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করি। মা-বাবার সঙ্গে কোর্টে যেতাম। সেখান থেকেই খেলাটাকে ভালবেসে ফেলি।”

এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর শাটলার তাই জু-ইং। ছবি: রয়টার্স

তবে তাই জু-ইং সব চেয়ে ভালবাসেন তাঁর ঠাকুমাকে। তিনি বলেন, “ছোটবেলায় ঠাকুমার সঙ্গে কাটানো সময়গুলি আমার সব চেয়ে ভাল স্মৃতি। এখন তাঁর বয়স ৯১। এখনও সুযোগ পেলেই দু’জনে একসঙ্গে সময় কাটাই। ঠাকুমাই আমার সব চেয়ে ভাল বন্ধু, সব চেয়ে শান্তির জায়গা। দু’জনে একসঙ্গে বসে খেলাও দেখি।”

Advertisement

২০১৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জেতেন। এশিয়ান গেমসে ব্যাডমিন্টনে কোনও চাইনিজ তাইপেইয়ের খেলোয়াড়ের সেটাই ছিল প্রথম পদক। চার বছর পর সেই প্রতিযোগিতায় সোনা জেতেন তিনি। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও দুটো সোনা (২০১৭, ২০১৮) এবং একটি ব্রোঞ্জ (২০১৫) রয়েছে তাই জু-ইংয়ের।

তবে এই সব জয় নয়, তাই জু-ইংয়ের প্রিয় মুহূর্ত ২০১০ সালের সিঙ্গাপুর ওপেনের একটি ম্যাচ। তিনি বলেন, “আমার জন্মদিন ছিল সে দিন। কোর্টে ঢুকতেই সকলে একসঙ্গে আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। ওই ঘটনা আজও ভুলতে পারিনি।” তবে সেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিলেন তিনি। বিপক্ষে ছিলেন ভারতের সাইনা নেহওয়াল।

এ বার সামনে আরও এক ভারতীয়। বিশ্বের এক নম্বর হলেও অলিম্পিক্সের পদক এখনও অধরাই তাই জু-ইংয়ের। তিনি বলেন, “অলিম্পিক্সে পদক জয়ই আমার স্বপ্ন।” সেই স্বপ্ন চোখে নিয়েই জীবনের তৃতীয় অলিম্পিক্সে নেমে পড়েছেন তিনি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে বিদায় নিতে হয় প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। পরের বার কোয়ার্টার ফাইনালেই শেষ হয়ে যায় তাঁর স্বপ্ন। টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে তাই জু-ইং। সামনে সিন্ধু।

সিন্ধুর বিরুদ্ধে নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চান চাইনিজ তাইপেই তারকা। ছবি: রয়টার্স

এই সিন্ধুসভ্যতায় বার বার আঘাত করেছেন তিনি। তবে চিন্তা একটাই। সিন্ধুর উচ্চতা। এক সাক্ষাৎকারে তাই জু-ইং বলেছিলেন, “সিন্ধু খুব লম্বা। কোর্টের মধ্যে ওর গতিও বেশ চিন্তার। ওকে হারানো কঠিন। একটা ভুল করলেই ও ম্যাচ নিয়ে চলে যেতে পারে।” তবে সিন্ধুর বিরুদ্ধে নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চান চাইনিজ তাইপেই তারকা। শেষ বার সিন্ধুর মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০২০ সালে ব্যাডমিন্টনের ওয়ার্ল্ড ট্যুরে। সেখানেও জিতেছিলেন তিনি। ফল ১৯-২১, ২১-১২, ২১-১৭। এ বারেও চাইবেন জিততে। জিতলেই পদক নিশ্চিত। স্বপ্ন সত্যি হবে তাই জু-ইংয়ের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement