Tokyo Olympics

Tokyo Olympics: নাচছে গোটা গ্রাম! কাঠ কুড়ানো, জল আনার সে সব দিন মনে পড়ছে চানুর দাদার

চানুর রুপো জয়ের খুশিটা একটু বেশি মণিপুরের ইম্ফলের নংবক কাকচিং গ্রামে। এই গ্রামেই চানুর বাড়ি। দাদা ইশাতন মিতাই বোনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত।

Advertisement

সারমিন বেগম

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২১ ১৭:৪৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

টোকিয়ো অলিম্পিক্সের দ্বিতীয় দিনেই দেশকে প্রথম পদক এনে দিলেন মীরাবাই চানু। পদক জয়ের আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। সেই খুশিটা একটু বেশি মণিপুরের ইম্ফলের নংবক কাকচিং গ্রামে। এই গ্রামেই চানুর বাড়ি। চানুর দাদা ইশাতন মিতাই বোনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত।

Advertisement

শনিবার যখন টোকিয়োতে লড়াই চালাচ্ছিলেন চানু, সেই সময় মণিপুরে ওঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে বেড়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটির অলিম্পিক্স পদক জয় সবাই একসঙ্গে টিভিতে দেখ‌েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে ইশাতন বললেন, ‘‘ছোটবেলায় বাড়ির ছোট খাটো কাজে সাহায্য করত ও। পুকুর থেকে জল নিয়ে আসা আমাদের ভাইবোনেদের দায়িত্ব ছিল। বড় হওয়ার পর খেলার জন্য বেশির ভাগ সময় ওকে বাড়ির বাইরেই থাকত হত। অনেক কঠিন সময় পেরোতে হয়েছে ওকে। অনেক ঝড় গিয়েছে ওর উপর দিয়ে।’’

মণিপুর থেকে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পদক জয়ের রাস্তা সহজ ছিল না। ২০১৬ সালে অলিম্পিক্সে গেলেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এ বার অবশ্য সেই আক্ষেপ আর নেই বলে জানালেন ইশাতন। দাদা বললেন, ‘‘ও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। আমাদের রাজ্য, জেলাকেও সম্মানিত করল এই জয়।’’

Advertisement

শুধু পরিবারের লোকজনই নন, আশে পাশের গ্রামবাসীরাও আনন্দে মেতেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে আজকের এই দিনের স্বপ্ন দেখেছিলেন চানু। সেই স্বপ্ন বাস্তব করতে দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি অনুশীলন করতে হত বলে জানালেন তাঁর দাদা। মেয়ের স্বপ্ন পূরণে খুশি তাঁর বাবা, মা-ও। আপাতত তাঁরা গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। অপেক্ষা করছেন কবে মেয়ে বাড়ি ফিরবেন, এক বার জড়িয়ে ধরবেন। কী ভাবে বোনের এই জয় উদযাপন করবেন, জানতে চাইলে মণিপুর স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করা ইশানত বললেন, ‘‘মন তো চাইছে বিরাট উৎসব করতে। কিন্তু করোনার কথা মাথায় রেখে তা সম্ভব নয়। তবে ও বাড়ি ফেরার আগেই আমাদের পরিকল্পনা সারা হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement