এ বারও পদক জিততে মরিয়া পি ভি সিন্ধু। ফাইল চিত্র
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নামার আগে বিপক্ষের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন পি ভি সিন্ধু। নতুন অস্ত্রে শান দিয়ে অলিম্পিক্সে নামছেন গত বারের রুপো জয়ী ব্যাডমিন্টন তারকা।
সিন্ধু বলেন, “এ বারের অলিম্পিক্সে বাজিমাত করার জন্য একটা নতুন অস্ত্রে শান দিয়েছি। তবে সেটা এখন গোপন রাখাই ভাল। কারণ প্রচার মাধ্যমের কাছে সেটা নিয়ে আলোচনা করলে বিপক্ষ সজাগ হয়ে যাবে। এই অস্ত্রকে যাতে কাজে লাগাতে পারি সেই জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। এই মুহূর্তে এতটাই বলতে পারি।”
জাতীয় দলের মুখ্য প্রশিক্ষক পুল্লেলা গোপীচন্দকে ছেড়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই গাচ্চিবৌলি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোরিয়ান প্রশিক্ষক পার্ক তায়ে সাংয়ের কাছে অনুশীলন করছেন। গত বছর করোনার জন্য অলিম্পিক্স বাতিল হয়ে গেলেও সিন্ধু কিন্তু পরিশ্রমে খামতি রাখেননি।
ফুরফুরে মন নিয়ে এ বার টোকিয়ো অলিম্পক্সে নামতে চলেছেন সিন্ধু। ফাইল চিত্র।
এই ভাইরাস হানার জন্যই অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া গত ১০ মাস তিনি কোর্টের মুখ দেখেননি। গাচ্চিবৌলিতে অনুশীলন করার পাশাপাশি সময় পেলে পরিবারের সঙ্গেও কাটিয়েছেন তিনি। আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই তিনি অলিম্পিক্সে নামার আগে আরও আত্মবিশ্বাসী।
সেই প্রসঙ্গে সিন্ধু বলেন, “গত ১০ মাস প্রতিযোগিতা না থাকলেও অনুশীলন করার পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছি। এই ফাঁকা সময় টেকনিক নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছি। কারণ অলিম্পিক্স সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা। একই সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মানসিক স্থিরতাও এসেছে। এত বড় প্রতিযোগিতায় নামার আগে মুক্ত মনে থাকার খুব প্রয়োজন।”
আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অলিম্পিক্স। এ বার কিন্তু মহিলাদের সিঙ্গলস বিভাগে তিনিই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর প্রতি যে সবার প্রত্যাশা রয়েছে, সেটা ২৬ বছরের এই অ্যাথলিট জানেন। তাই শেষে বলেন, “দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে সব সময় সেরা ফল করার চেষ্টা করেছি। এ বারও সেই ধারা বজায় থাকবে। রিও-তে অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া করেছিলাম। এ বার সেই দুঃখ মেটাতে চাই।”