অতনু দাস ও দীপিকা কুমারী টুইটার
মিক্সড ডাবলসে সঙ্গী বাছাই ভুল হয়েছে। এই নিয়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিশ্বের এক নম্বর তিরন্দাজ দীপিকা কুমারী। প্রবীণ যাদবের সঙ্গে জুটি বেঁধে মিক্সড ডাবলস খেলতে নেমেছিলেন দীপিকা। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হয় তাঁদের। দীপিকার দাবি, তাঁর স্বামী অতনু দাসের সঙ্গে নামলে সাফল্য পেতে পারতেন তাঁরা।
যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে অতনুর থেকে ভাল ফল করায় অলিম্পিক্সের মিক্সড ডাবলসে সুযোগ পান প্রবীণ। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ ভারতের হয়ে তিন বার অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করা দীপিকা। তিনি বলেন, ‘‘যোগ্যতা অবশ্যই একটা মাপকাঠি, কিন্তু বুঝতে হবে আমরা এতদিন পরিশ্রম করেছি। একসাথে খেলেছি। সেটা তো একদিনের খেলায় বিচার করা যায় না।’’
দীপিকা আরও বলেন, ‘‘আমি আর অতনু অনেকদিন ধরেই একসাথে খেলছি। এই ধরনের মঞ্চে পরস্পরের মধ্যে যে বোঝাপড়ার দরকার হয় সেটা আমাদের মধ্যে রয়েছে। আমরা একসাথে গত তিন-চার বছর ধরে খেলছি। আমরা একসাথে খেললে পদক আসতে পারত।’’
গত বছর জুন মাসে অতনুকে বিয়ে করেছেন দীপিকা। এখনও নিজেদের বাড়িতেই যাওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। কোথাও ঘুরতেও যেতে পারেননি এই কোভিড পরিস্থিতির জন্য। গত আট মাস তাঁদের সবটাই ছিল তিরন্দাজিকে কেন্দ্র করে। তবুও পদক না আসায় আরও হতাশ দীপিকা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবসময় আমাদের খেলা নিয়েই ভেবে গিয়েছি। বিয়ের পর ছুটি কাটানোর সুযোগ পাইনি। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছি।’’
তবে ব্যক্তিগত বিভাগে নিজের খামতির জন্যই হারতে হয়েছে। এমনটাই মত দীপিকার। তিনি বলেন, ‘‘শেষ দুই অলিম্পিক্স থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তবে এবারেও কিছু ভুল থেকে গিয়েছে। সেটা দ্রুত ঠিক করতে হবে।’’