Nilesh Kulkarni

দুর্দান্ত সব রেকর্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রায় অনামী এই সব ভারতীয় ক্রিকেটাররা, জানতেন!

করোনাভাইরাসের জেরে বন্ধ ক্রিকেটের আসর। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। এই আবহেই ফিরে দেখা ক্রিকেটের কিছু রেকর্ডের দিকে যেগুলির মালিকানা রয়েছে ভারতীয়দের কাছে। এই ভারতীয় ক্রিকেটাররা অবশ্য তারকা নন। কিছুটা অস্বাভাবিক ভাবেই রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এঁদের নাম। যা বোঝাচ্ছে ক্রিকেট এক গৌরবময় অনিশ্চয়তারই খেলা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ১৫:২৮
Share:
০১ ১০

করোনাভাইরাসের জেরে বন্ধ ক্রিকেটের আসর। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। এই আবহেই ফিরে দেখা ক্রিকেটের কিছু রেকর্ডের দিকে যেগুলির মালিকানা রয়েছে ভারতীয়দের কাছে। এই ভারতীয় ক্রিকেটাররা অবশ্য তারকা নন। কিছুটা অস্বাভাবিক ভাবেই রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এঁদের নাম। যা বোঝাচ্ছে ক্রিকেট এক গৌরবময় অনিশ্চয়তারই খেলা।

০২ ১০

মুম্বইয়ের দীর্ঘকায় বাঁ-হাতি স্পিনার নীলেশ কুলকার্নির আন্তর্জাতিক কেরিয়ার দীর্ঘ নয়। ১৯৯৭ সালে অভিষেক ঘটে তাঁর। ২০০১ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যায়নি তাঁকে। এই সময়ে তিনটি টেস্ট ও ১০টি একদিনের ম্যাচ খেলেন তিনি। আর তার মধ্যেই মালিক হন একটি রেকর্ডের।

Advertisement
০৩ ১০

১৯৯৭ সালের অগস্টে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটে নীলেশের। সেই টেস্টে শ্রীলঙ্কা ছয় উইকেটে ৯৫২ রান তুলে রেকর্ড গড়ে। যার নেপথ্যে সনৎ জয়সূর্যের ৩৪০ ও রোশন মহানামার ২২৫ রানের বড় ভূমিকা ছিল। তাৎপর্যের হল, সেই ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেন নীলেশ। ফেরান ওপেনার মারভান আতাপাত্তুকে।

০৪ ১০

টেস্টে নীলেশ আর মাত্র একটি উইকেটই নিতে পেরেছিলেন। কিন্তু, টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব থেকে গিয়েছে তাঁর সঙ্গেই। তবে সামগ্রিক ভাবে টেস্টে ৭৩৮ বলে ৩৩২ রান দিয়ে দুই উইকেট, একেবারেই সাদামাটা পারফরম্যান্স তাঁর।

০৫ ১০

এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সেরা বোলিং গড় রয়েছে স্টুয়ার্ট বিনির। যা ভাবাই যায় না। কারণ, ক্রিকেটার হিসেবে স্টুয়ার্ট বিনি সেই উচ্চতায় পৌঁছতে পারেননি কখনও। স্টুয়ার্ট বিনির আগে ভারতের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল অনিল কুম্বলের। ১৯৯৩ সালে ইডেনে হিরো কাপের ফাইনালে ১২ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন কুম্বলে।

০৬ ১০

তার ২১ বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে মাত্র চার রানে ছয় উইকেট নেন স্টুয়ার্ট বিনি। তাঁর মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের সামনে বিপর্যস্ত দেখিয়েছিল বাংলাদেশকে। তাঁর সুইং ডেলিভারি জিতিয়েছিল দলকে। মাত্র ৪.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

০৭ ১০

সেই ম্যাচে তাসকিন আহমেদের পাঁচ উইকেটের দাপটে ভারতের ইনিংস শেষ হয়েছিল ১০৫ রানে। ১০৬ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্টুয়ার্ট বিনির সুইংয়ে ১৭.৪ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশ। বিনির শিকার তালিকায় ছিলেন শাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহর মতো ব্যাটসম্যানরা।

০৮ ১০

অজিত আগরকর একসময় অলরাউন্ডার হিসেবে সাড়া ফেলেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। চিহ্নিত হয়েছিলেন কপিল দেবের উত্তরসূরি হিসেবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর টানা শূন্য রানের কথাই স্মৃতিতে টাটকা ক্রিকেটপ্রেমীদের।

০৯ ১০

তবে আগরকর যে ব্যাট করতে পারতেন, তা তাঁর ভারতীয়দের মধ্যে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছনয় প্রমাণিত। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে রাজকোটে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের পঞ্চম একদিনের ম্যাচে মাত্র ২১ বলে পঞ্চাশে পৌঁছন তিনি। এটাই ৫০ ওভারের ফরম্যাটে কোনও ভারতীয়র দ্রুততম অর্ধশতরান। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

১০ ১০

সেই ইনিংসে সাতটি চার ও চারটি ছয় মারেন আগরকর। তাঁর দাপটেই ছয় উইকেটে ৩০১ তোলে ভারত। বল হাতেও নজর কাড়েন তিনি। ২৬ রানে নেন তিন উইকেট। কিন্তু এর পর ব্যাটসম্যান হিসেবে দাগ কাটতে পারেননি মুম্বইকর। বরং বল হাতে এক দিনের ক্রিকেটে ২৮৮ উইকেট নিয়ে প্রতিভার প্রতি কিছুটা সুবিচার করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement