এই বাংলা দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন রঞ্জি জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বাংলার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন দলের ক্যাপ্টেন তিনি। ১৯৯০ সালে তাঁর নেতৃত্বে শেষ বার বাংলা রঞ্জি ট্রফি ঘরে তুলেছিল। এ বার ফের রঞ্জি জয়ের হাতছানি বাংলার সামনে।
অভিমন্যু ইশ্বরনের দল কি পারবে এ বার স্বপ্ন সফল করতে? সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশাবাদী, এই দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্ফুলিঙ্গ রয়েছে। বাংলা রঞ্জি সেমিফাইনালে কর্নাটককে হারানোর পরে আনন্দবাজার ডিজিট্যালকে সম্বরণ বললেন, ‘‘আসল হল আত্মবিশ্বাস। নিজের দক্ষতায় ভরসা রাখতে হয়। চাপের মুখে অবিচল থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠতে হয়। এই দলটার মধ্যে সেটা বেশ ভালই রয়েছে। বার বার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েও সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। চাপ কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছে। এই মানসিক কাঠিন্যই কিন্তু পার্থক্য গড়ে দেয়।’’
এই বাংলা দলের মধ্যে বিশেষত্ব কী? সম্বরেণের ব্যাখ্যা, ‘‘এই দলটার টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও লোয়ার অর্ডার খামতি পুষিয়ে দিচ্ছে। একটা ম্যাচে নয়, বার বার এমন ঘটছে। এই দলের বোলাররা যে কোনও কন্ডিশনে নিজেদের প্রমাণ করছে। তবে ফাইনালে কিন্তু টপ অর্ডারকে রান করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী মুকেশ, ১৭৪ রানে জিতে ১৩ বছর পর রঞ্জির ফাইনালে বাংলা
দুটো নক আউট ম্যাচেই অবিকল একই চিত্রনাট্য। ওড়িশার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে একের পর এক উইকেট যখন পড়ছে, তখন সেঞ্চুরি করে রুখে দাঁড়ান অনুষ্টুপ মজুমদার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করে যান শাহবাজ আহমেদ।
ফাইনালে ওঠার পিছনে নায়ক কে? সম্বরণের উত্তর, ‘‘অনুষ্টুপ দুটো ম্যাচে খুব ভাল ব্যাট করল। তবে ওড়িশা ম্যাচের থেকেও কর্নাটকের ম্যাচের চাপ বেশি ছিল। দু’ ইনিংসেই অনুষ্টুপ দলকে টানল। এর পরেও কোনও একজনকে বাছতে হলে আমি শাহবাজ আহমেদকেই বাছব। ও কিন্তু আট নম্বরে নেমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে প্রতিটি ম্যাচে। এই অবদান গুলোই পার্থক্য করে দেয়। ব্যাটে রান করার পাশাপাশি বল হাতেও উইকেট নিয়েছে। এক্স ফ্যাক্টর বাছতে হলে আমি কিন্তু শাহবাজের কথাই বলব।’’
সম্বরণের কথায় উঠে এসেছে একদা সতীর্থ অরুণলালের কথা। এখন তিনি বাংলা দলের কোচ। কর্নাটক ম্যাচের আগে তাঁর ভোকাল টনিক তাতিয়ে দিয়েছিল বাংলা শিবিরকে। সম্বরণ বলছেন, ‘‘কোচের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তফাত গড়ে দিয়েছে। বাংলাকে এত আগ্রাসী দেখাচ্ছে অরুণের জন্যই।’’
আরও পড়ুন: ধোনি কার থেকে জনপ্রিয় হেলিকপ্টার শট শিখেছিলেন জানেন?
তিরিশ বছর আগে বাংলার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় অবদান রেখেছিলেন অরুণলাল। এ বার কোচ হয়ে বাংলাকে ফাইনালে তুললেন। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি দেওয়ার এক দারুণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বহুযুদ্ধের সৈনিক অরুণলাল।