ফ্রাঞ্জ পুসকাস: হাঙ্গেরির সর্বকালের সেরা ফুটবলার পুসকাস ৫২৯ ম্যাচে ৫১৪ গোল করেছেন। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে যোগ দেওয়ার আগে ৩২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল হাঙ্গেরি। কিন্তু ফাইনালে তত্কালীন পশ্চিম জার্মানির কাছে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও ৩-২ গোলে হারে হাঙ্গেরি।
ইউসেবিও: পর্তুগালের সর্বকালের সেরা ফুটবলার। ১৯৬৫-এর ব্যালন ডি’অর একটি মাত্র বিশ্বকাপ খেলেছেন। ১৯৬৬-এর সেই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পর্তুগলকে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। আর কোনও দিনই দেশের হয়ে ট্রফি জেতেননি ইউসেবিও।
জোহান ক্রুয়েফ: টোটাল ফুটবলের জনক ইউরোপীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা আয়াখস এবং বার্সার হয়ে অসংখ্য ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু দেশের হয়ে ততটা সাফল্য পাননি। ১৯৭৪-এর ক্রুয়েফদের দলকে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা দল বলা হয়। পুরো বিশ্বকাপ শাসন করে ফাইনালে জার্মানির কাছে ২-১ গোল হারে ডাচরা।
পাওলো মালদিনি: বিশ্বের সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারের তালিকায় অনায়াসে চলে আসবেন এই ইতালীয়। ক্লাব পর্যায়ে বহু ট্রফি জেতা মালদিনি দেশের হয়ে ট্রফি জেতার দোড়গোড়ায় এলেও জিততে পারেননি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ এবং ২০০০ ইউরোয় রানার্স হয় ইতালি।
লুই ফিগো: পর্তুগালের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার ক্লাব পর্যায়ে ছিলেন প্রায় অপ্রতিরোধ্য। যুব পর্যায়ে বিশ্বকাপ, ইউরো জিতলেও সিনিয়র পর্যায়ে তেমন কোনও সাফল্যই নেই ফিগোর। সর্বোচ্চ প্রাপ্তি ২০০৪ সালে ইউরোয় রানার্স হওয়া।
ডেনিস বার্গক্যাম্প: প্রিমিয়ার লিগে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে বার্গক্যাম্পকে অন্যতম সেরা বলেন অনেক বিশেষজ্ঞই। ৩টি প্রিমিয়ার লিগ, চারটি এফ এ কাপ জেতা ডাচ মহাতারকা দেশের হয়ে দু’টি ইউরো এবং একটি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেললেও ট্রফি জেতেননি।
রবার্তো বাজ্জো: পনিটেলের এই ফুটবলারকে ইতালির সর্বকালের অন্যতম সেরা বলা হয়। প্রতিভাবান এই ফুটবলার ইতালিকে ১৯৯৪ ফাইনালে তোলে। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলা বাজ্জো ফাইনালে পেনাল্টি ফস্কান। ব্যালন ডি’অর জিতলেও কোনও দিনই বড় ট্রফি জেতা হয়নি বাজ্জোর।
মাইকেল বালাক: বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদের তালিকায় অনায়াসে সুযোগ পাবেন এই জার্মান। বহু দিন দলের অধিনায়কত্ব করা বালাককে ‘ফাইনাল ফ্লপ’ বলা হয়। বেশ কয়েক বার আন্তর্জাতিক ট্রফির কাছাকাছি এসেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিল এবং ২০০৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনর কাছে হারে বালাকের জার্মানি।
অলিভার কান: জার্মানির সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক দেশের হয়ে ৮৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কাছে ফাইনালে দু’গোল খাওয়ার আগে পর্যন্ত মাত্র একটি গোল হজম করেছিলেন কান। কিন্তু ফাইনালে হেরে যায় জার্মানি। ৮ বার বুন্দেশলিগা এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা কান উয়েফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকও হয়েছেন বেশ কয়েক বার। কিন্তু বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি অধরাই রয়ে গিয়েছে।
লিওনেল মেসি: তিন বার কোপা আমেরিকা, একবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও চার বারই রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পাঁচ বারের এই ব্যালন ডি’অরকে। শেষ বার কোপা ফাইনালে হারার পর হতাশ মেসি অবসরই নিয়ে নেন। তবে ফিরে আসেন কয়েক দিনের মধ্যেই। পরবর্তী বিশ্বকাপের টিকিট আর্জেন্তিনা আদৌ পাবে কি না সেটাই প্রশ্নের মুখে থাকায় বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতার সম্ভাবনা মেসির প্রায় নেই বললেই চলে।