বিনেশ ফোগট। —ফাইল চিত্র।
প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রতিযোগিতার আগে সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন বিনেশ ফোগাট। দেশের অন্যতম সেরা মহিলা কুস্তিগিরের আশঙ্কা সঞ্জয় সিংহ তাঁকে ডোপিংয়ে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন। শুক্রবার সমাজমাধ্যমে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন বিনেশ। ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত নতুন সভাপতি সঞ্জয়। সে কারণেই আশঙ্কায় রয়েছেন বিনেশ। তিনি লিখেছেন, ‘‘ব্রিজভূষণ এবং তাঁর অনুগামী সঞ্জয় আমাকে অলিম্পিক্সের বাইরে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। যে কোচদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই ব্রিজভূষণ এবং তাঁর অনুগামীদের ঘনিষ্ঠ। এমন হতেই পারে, তাঁরা কেউ আমার খাওয়ার জলে নিষিদ্ধ কিছু মিশিয়ে দিলেন। খেলার মাঝে সেই জল খেয়ে আমি বিপদে পড়ব। আমাকে ডোপিংয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র হতে পারে। আমি খুব একটা ভুল বলছি না।’’
এমন আশঙ্কার কারণও জানিয়েছেন বিনেশ। তিনি লিখেছেন, ‘‘গত এক মাস ধরে আমার ব্যক্তিগত কোচ এবং ফিজিয়োকে সঙ্গে রাখার অনুমতি চাইছি। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রককে বার বার অনুরোধ করেছি। প্রয়োজনীয় অনুমতি না থাকলে প্রতিযোগিতার সময় তাঁরা কেউই আমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও এখনও প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইতিবাচক কোনও উত্তরও পাইনি। কেউ সাহায্য করতে চাইছে না। এ ভাবে খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলতে চাইছেন কর্তারা।’’
সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিনেশ আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের মানসিক ভাবে হেনস্থা করার কোনও চেষ্টা বাকি রাখা হয়নি। একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আগে খেলোয়াড়দের হেনস্থা করা কতটা যুক্তিসঙ্গত? দেশের হয়ে খেলতে নামার আগেও কি আমাদের রাজনীতির শিকার হতে হবে? যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলাই কি আমাদের অপরাধ? অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে কি শাস্তি দেওয়া হবে? আশা করব দেশের হয়ে খেলতে নামার আগে অন্তত সঠিক বিচার পাব।’’
২৯ বছরের কুস্তিগির ২০১৯ এবং ২০২২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন মহিলাদের ৫৩ কেজি বিভাগে। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে ৫০ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিলেন। আগামী প্যারিস অলিম্পিক্সে ৫০ কেজি বিভাগে নামা লক্ষ্য তাঁর। আগামী সপ্তাহে কাজ়াখস্তানে হবে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের প্রতিযোগিতা।