—ফাইল চিত্র
একসঙ্গে মাঠে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে দেশকে উপহার দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ। ৩৮ বছর পরে বিশ্বজয়ী ইটালি দলের সেই প্রাক্তন সতীর্থরাই সঙ্গী হলেন প্রিয় পাওলো রোসির বিদায় বেলার।
শনিবার ভিসেঞ্জার সান্তা মারিয়া অ্যানানসিয়েতা ক্যাথিড্রালে সমাহিত করা হয় রোসিকে। করোনা অতিমারির কারণে মাত্র ৩০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রোসির স্ত্রী ফেদেরিকাও। ইটালির এক পত্রিকা জানিয়েছে, এমন শোকের আবহেই প্রয়াত তারকার বাড়িতে চুরি হয়ে যায় শনিবার। সেই সময় রোসির পরিবারের সদস্যরা ছিলেন ক্যাথিড্রালে। বাড়িতে ফেরার পরে তাঁরা দেখতে পান, বাড়ির জানালা ভাঙা এবং জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তবে রোসির ফুটবল জীবনের স্মরণীয় স্মারক কিছু চুরি হয়নি। তাঁর একটি হাতঘড়ি এবং কিছু টাকা নিয়ে গিয়েছে চোরেরা বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তা নিয়ে পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে।
রোসির কফিন বহন করে নিয়ে যান ১৯৮২ বিশ্বকাপ দলের সদস্যদের অন্যতম মার্কো তারদেল্লি, আন্তোনিয়ো কাব্রিনি। কফিনের উপরে সাজানো ছিল বিশ্বকাপে পরা রোসির বিখ্যাত নীল রংয়ের জার্সি। তাঁদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন রবের্তো বাজ্জো এবং পাওলো মা্লদিনি। ছিলেন রোসির পুত্র আলেসান্দ্রোও।
শোকাচ্ছন্ন কাব্রিনি বলেছেন, “আমি শুধু এক প্রাক্তন সতীর্থকেই হারালাম না, তারই সঙ্গে হারালাম এক বন্ধু এবং ভাইকে।” যোগ করেছেন, “আমরা মাঠে একসঙ্গে লড়াই করেছি। কখনও জিতেছি, কখনও আবার হেরেওছি। হতাশও হয়েছি। কিন্তু ওর এভাবে এত তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।” প্রাক্তন ইটালি তারকা পাওলো মালদিনি বলেছেন, “রোসি ছিলেন ইটালি ফুটবলের গৌরব। এমনিতেই এই বছরটা খুব যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে হচ্ছে। তার মধ্যে রোসির মতো কিংবদন্তির বিদায় সামনের দিনগুলোকে যেন আরও অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিচ্ছে।”