ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বাড়িতে ফিরল ভারতীয় কুস্তি সংস্থার অফিস। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। যে কারণে ব্রিজভূষণকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কুস্তি সংস্থার প্রধানের পদ থেকে। অথচ তাঁর বাড়িতেই আবার সংস্থার অফিস ফিরল। এমনটাই জানিয়েছে ইংরেজি দৈনিক ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’।
ব্রিজভূষণ যখন কুস্তি সংস্থার প্রধান ছিলেন, তখন অফিস ছিল তাঁর বাড়িতে। কিন্তু তাঁকে যখন সরানো হয়, তখন অফিসের ঠিকানাও বদল হয়। ব্রিজভূষণ গত লোকসভায় ভোটে লড়েননি। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন বেশ কিছু কুস্তিগির। যে কারণে দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না দিয়েছিলেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগাটের মতো কুস্তিগিরেরা। ব্রিজভূষণের বাড়ি দিল্লিতে। তাঁর ছেলে করণভূষণ সিংহ লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের কৈশরগঞ্জ থেকে। তিনি জিতেওছিলেন।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লি কোর্টে এখনও যৌন হেনস্থার মামলা চলছে। যে কারণে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই ভারতীয় কুস্তি সংস্থার। কিন্তু ঘুরপথে যে এখনও তিনি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, তা স্পষ্ট। তাঁর বাড়িতে সংস্থার অফিস আসার ঘটনায় ব্রিজভূষণ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “কুস্তি সংস্থার অফিস কোথায় হবে তা সরকার ঠিক করবে না।”
২০২৩ সালে কুস্তি সংস্থার অফিস চলে গিয়েছিল হরিনগরে। সেই সময় কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক ভারতীয় কুস্তি সংস্থাকে নিলম্বিত করেছিল। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দেশের অন্যতম সেরা কুস্তিগিরদের অভিযোগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ব্রিজভূষণের দাবি, “কুস্তি সংস্থার অফিস এখনও হরিনগরেই আছে। আমরা নতুন জায়গা খুঁজছি। যে হেতু বহু দিন ধরে আমি কুস্তি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাই বিভিন্ন সময়ে কুস্তিগির এবং কর্তারা আমার বাড়িতে আসেন। আর কুস্তি সংস্থার অফিস কোথায় সেটা খুব বড় বিষয় নয়। সংস্থাই ঠিক করবে অফিস কোথায় হবে। তারা অফিসের জন্য জায়গা খুঁজছে। খুব তাড়াতাড়ি নতুন অফিস হবে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার। আমি এখনও কুস্তির সঙ্গে যুক্ত। কুস্তিগিরেরা তাই আমার সঙ্গে দেখা করেন। অন্য খেলার সঙ্গে যুক্ত ক্রীড়াবিদেরাও আসেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। কে কী বলছে তাতে কিছু যায়- আসে না। আমি কোনও অন্যায় করিনি। আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে তো আমার কোনও বাধা নেই।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কুস্তি সংস্থার অফিস সাময়িক ভাবে ব্রিজভূষণের বাড়িতে সরানো হয়েছে। তবে আগামী মাসের মধ্যেই নতুন অফিসে চলে যাবে। সংস্থার এক কর্মী বলেন, “বসন্ত পঞ্চমীর দিন নতুন অফিসে যাওয়া হবে। নিলম্বিত থাকার কারণেই এত জটিলতা। আশা করি সেটা উঠে যাবে। আমরা আবার স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারব।”