সকাল দেখেই নাকি বোঝা যায় দিন কেমন যাবে। দ্বিতীয় বলেই জন ক্যাম্পবেলের উইকেট নিয়ে তার ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। আর ছয় মেরে কাজটা শেষও করলেন সেই সুন্দরই। কী ভাবে এল এই জয়? কোথায় ক্যারিবিয়ানদের টেক্কা দিল ভারত? জিতলেও কোন কোন জায়গা চিন্তায় রাখবে কোহালিদের? দেখে নেওয়া যাক।
ফ্লোরিডার কঠিন উইকেটে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট তুলতে থাকেন ভারতীয় বোলাররা। বল হাতে সফল সব বোলারই। উইকেট পেয়েছেন সকলে। তরুণরা ভারতীয় বোলাররা যে দাপট দেখিয়েছেন তাতে বলাই যায় বোলিং বিভাগের রিজার্ভ বেঞ্চও তৈরি।
নবদীপ সাইনি। এই নামটা হয়ত ভারতীয় ক্রিকেট মনে রাখতে চলেছে বহুদিন। প্রমাণ করে দিলেন, সেই দিন তাঁকে রঞ্জি দলে নেওয়ার গৌতম গম্ভীরের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না।
এই ম্যাচে এক ওভার মেডেন সহ চার ওভার বল করে সাইনি তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। দিয়েছেন মাত্র ১৭ রান। এই গতিতে চলতে থাকলে হয়ত কোনও দিন লাল বলও তাঁর হাতে তুলে দিতে দেখা যাবে বিরাটকে।
গেল, রাসেলদের ছাড়া এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেমন যেন খাপছাড়া। শুরুর ধাক্কা সামলে পাল্টা দেওয়ার লোক হাতড়ে বেরাতে দেখা গেল পোলার্ডকে। অবশ্য তাঁকেও ভয়ঙ্কর হতে দেননি কোনও ভারতীয় বোলারই।
একশো পেরোতে না পারা ক্যারিবিয়ান টার্গেট টপকাতে ভারতকে যে এত পরিশ্রম করতে হবে, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউই। টি২০-র সেরা ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে রেখে নামা বোধ হয় ভুলই হয়েছিল কোহালিদের।
শুরুতেই ব্যর্থ ধওয়ান। নির্বিষ ছিলেন রোহিতও। তবে অল্প রানের লক্ষ্যে, ধীরে চলো নীতি খুব বিপদে ফেলেনি বিরাটদের।
আবার প্রশ্নের মুখে ভারতীয় মিডল অর্ডার। প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ পন্থ। বহু দিন পর দলে ফিরে ভাল শুরু করলেও ম্যাচ শেষ করে আসতে না পারার সেই পুরোনো রোগ আজও সারেনি মণীশ পাণ্ডের।
দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্রুণাল পাণ্ড্য ও রবীন্দ্র জাডেজা। এই দুই অলরাউন্ডারের মিলিত ২২ রান অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় শেষ দিকে।
তবে যিনি শুরু করেছিলেন উইকেট নিয়ে, সেই ওয়াশিংটন সুন্দরের লং-অনের ওপর দিয়ে মারা ছয় দিয়েই সিরিজের প্রথম জয় আসে ভারতের।
জয় দিয়ে শুরু হল ক্যারিবিয়ান সফর। বিরাটের সামনে সুযোগ তিন ফরম্যাটেই জিতে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এই কীর্তি গড়ার। তৈরি বোলিং বিভাগ।কিন্তু চিন্তায় রাখবে সেই মিডল অর্ডার। এখন দেখার আজকের ম্যাচে এই ফ্লোরিডাতেই কোন দল নামায় ভারত।