টেনিস সার্কিটে র্যাকেট ভাঙার ঘটনা নতুন নয়। ছোট থেকে বড়, সব ধরনের খেলোয়াড়ই কোনও না কোনও সময় মেজাজ হারিয়ে র্যাকেট ভেঙেছেন। তাঁর জন্য দোষী সাব্যস্তও করা হয়েছে।
রজার ফেডেরার থেকে নোভাক জোকোভিচ বা জন ম্যাকেনরো, কেউই বাদ নেই এই তালিকায়। ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড়রাও ধৈর্য হারিয়েছেন। যাঁদের মাথা গরম তাঁদের কাছে তো এটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
গ্রিগর দিমিত্রভ: বুলগেরিয়ার এই খেলোয়াড় কেরিয়ারে একাধিক বার র্যাকেট ভেঙেছেন। ২০১৬ সালে ইস্তানবুল ওপেনের ফাইনালে মেজাজ হারিয়ে র্যাকেট ভাঙেন এবং ম্যাচ হারেন দিয়েগো শোয়ার্ৎজম্যানের কাছে।
অ্যান্ডি রডিক: আমেরিকার এই খেলোয়াড় ঠান্ডা মাথার। কিন্তু রেগে গেলে তাঁকেও র্যাকেট ভাঙতে দেখা গিয়েছে। আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ কয়েক বার তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েছেন।
নিক কির্গিয়োস: টেনিস সার্কিটের সম্ভবত সব থেকে মাথা গরম হওয়া খেলোয়াড়। কত বার র্যাকেট ভেঙেছেন তা হয়তো গুণে শেষ করা যাবে না।
জন ম্যাকেনরো: দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু বার রাগের চোটে র্যাকেট ভাঙতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এক বার স্টকহোমে র্যাকেট দুমড়েমুচড়ে ভেঙে দিয়েছিলেন। সেটিই এখনও পর্যন্ত বিখ্যাত।
মারাট সাফিন: র্যাকেট ভাঙা যেন আমেরিকার এই খেলোয়াড়ের কাছে পছন্দের কাজ ছিল। বহু ম্যাচে পিছিয়ে থাকার সময় তাঁকে র্যাকেট ভাঙতে দেখা গিয়েছে।
গোরান ইভানিসেভিচ: জীবনে বহু বার র্যাকেট ভেঙেছেন। কিন্তু ২০০০ সালে ব্রাইটনে একটি ম্যাচে এত বার র্যাকেট ভাঙেন যে শেষ দিকে ম্যাচ সম্পূর্ণ করার মতো র্যাকেটই তাঁর কাছে ছিল না।
মিখাইল ইউঝনি: র্যাকেট ভাঙতে তিনিও সিদ্ধহস্ত। তবে একটি খেলায় রাগের চোটে তিনি নিজের মাথাতেই র্যাকেট দিয়ে আঘাত করা শুরু করেছিলেন। র্যাকেট ভাঙেনি। তবে মাথায় চোট পেয়েছিলেন গুরুতর।
মার্কোস বাঘদাতিস: ফেডেরারকে হারিয়ে বিখ্যাত হওয়া এই খেলোয়াড় ২০১২ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন স্ট্যান ওয়ারিঙ্কার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে বসে বসেই চারটি র্যাকেট ভেঙে দেন।
নোভাক জোকোভিচ: রাগ হলে র্যাকেট ভাঙতে কসুর করেন না তিনিও। ইউএস ওপেনের ফাইনাল তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ।
রজার ফেডেরার: আদতে ঠান্ডা মাথার এই খেলোয়াড়ও কেরিয়ারের শুরুর দিকে রাগের চোটে একাধিক বার র্যাকেট ভেঙেছেন। ইদানীং অবশ্য তাঁকে সেই কাজ করতে দেখা যায় না।
সেরিনা উইলিয়ামস: বহু মহিলা খেলোয়াড়ই র্যাকেট ভাঙেন। কিন্তু সেরিনা থাকবেন সবার থেকে উপরে।
ফার্নান্দো গঞ্জালেজ: র্যাকেট ভাঙার ব্যাপারে সব থেকে উপরের দিকে থাকবেন ইনি। প্রায় প্রতি ম্যাচে র্যাকেট ভাঙা ছিল যেন নিয়মিত কাজ।