বার্সেলোনা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। লিয়োনেল মেসি রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন তাঁর বার্সেলোনা ছাড়ার কথা। ১৭ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হল।
তার আগে শনিবার বন্ধু, আত্মীয়দের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে ছিলেন সের্জিও আগুয়েরো, সের্জিও বুস্কেৎস, জেরার পিকে, জর্ডি আলবারা।
রবিবার বার্সেলোনার সময় দুপুর ১২টায় সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয় মেসির। সাংবাদিক সম্মেলনে ঢোকার পরে তিনি আর নিজেকে সামলাতে পারেননি। কেঁদে ফেলেন।
মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে তখনও কিছু বলেননি। তার আগেই চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে। মাস্ক খুলে দু’চোখ মুছতে থাকেন।
নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, “ব্যাপারটা মেনে নেওয়া কঠিন। এ রকম হবে কোনও দিন ভাবিনি। প্রথম দিন থেকে নিজের সেরাটা দিয়েছি। আশা করি এক দিন ঠিক ফিরে আসতে পারব।”
গত বছর ক্লাব ছাড়বেন ভেবেছিলেন। কিন্তু এ বছর বার্সাতেই থাকবেন ভেবেছিলেন। মেসি বলেন, “এটার জন্য তৈরি ছিলাম না। গত বছর ভেবেছিলাম চলে যাব। কিন্তু এ বছর এই ক্লাবে থাকার ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এটাই আমাদের ঘরবাড়ি হয়ে উঠেছিল। ক্লাব, সতীর্থ এবং আমার পাশে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ।”
শেষে ছিল অভিমানও। মেসি বলেন, “প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত এই ক্লাবের হয়ে সেরাটা দিয়ে এসেছি। কিন্তু আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলা হয়েছে। এটুকু বলতে পারি, থেকে যাওয়ার জন্যে অনেক চেষ্টা করেছিলাম। এই ক্লাবকে, এই সমর্থকদের আমি ভালবাসি। কিন্তু ওদের ঠিক করে বিদায় জানাতে পারলাম না। খারাপ লাগছে।”
রবিবার মেসি যখন ক্যাম্প ন্যুতে এই বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছেন, তখন বাইরে অসংখ্য সমর্থক। মেসির নাম লেখা জার্সি পরে নায়ককে বিদায় জানাতে এসেছিলেন তাঁরা।
মেসি রবিবারই জানিয়ে দেন, নেমারের সঙ্গে আবার জুটি বাঁধতে পারেন। প্যারিস সঁ জঁ-র সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা চলছে। বলেন, “প্যারিসে যাওয়ার অবশ্যই একটা সম্ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত হয়নি। ওদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কথা চলছে।”
সোমবারই প্যারিসে উড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে মেসির। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নাকি সরকারি ভাবে তাঁর প্যারিসে খেলার কথা জানিয়ে দেওয়া হবে।