প্রশংসা: বুমরা, শামিদের দক্ষতাকে কুর্নিশ লি-র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে এই বছরের সব চেয়ে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যে লড়াই হবে বছরের শেষে। এই সিরিজের ভাগ্য অনেকটাই বোলারদের হাতে থাকবে, বলে মনে করছেন ব্রেট লি।
বাইশ গজে এই দু’দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এখন থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। মুখ খুলেছেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই। মঙ্গলবার যেমন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার ব্রেট লি জানিয়েছেন, বোলাররা কতটা সুইং করাতে পারবেন, তার উপরে সিরিজের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করে থাকবে। কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে আইসিসির নতুন নিয়মের কথা মাথায় রেখেই এ কথা বলেছেন লি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ঘরের মাঠে খেলা বলে আমাদের সুবিধাটা বেশি। কিন্তু এও জানি, পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় আসবে ভারত। আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ার জেতার চাবিকাঠি ওদের বোলারদের হাতে।’’
প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসার মনে করেন, ভারতের হাতেও যে-কোনও ব্যাটিংকে উড়িয়ে দেওয়ার মতো পেস আক্রমণ আছে। লির মন্তব্য, ‘‘ভারতের হাতেও দারুণ পেস আক্রমণ আছে। যে কোনও দলের টপ অর্ডার ব্যাটিংকে উড়িয়ে দিতে পারে ওরা। কিন্তু সব কিছুই নির্ভর করবে বল কতটা সুইং করছে বা করছে না, তার উপরে। আর কোন মাঠে কী রকম সুইং করছে, সেটাও দেখতে হবে।’’ অস্ট্রেলিয়া সফরে বিরাট কোহালিদের চারটে টেস্ট খেলার কথা যথাক্রমে ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন এবং সিডনিতে। এর মধ্যে আবার অ্যাডিলেডে রয়েছে দিনরাতের টেস্ট ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ সামলানোর দায়িত্বে আছেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হেজলউডরা। অন্য দিকে ভারতের হয়ে খুব সম্ভবত মাঠে নামবেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা। দু’দলের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিও খুব ভাল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বল পালিশে থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার পরে পেসাররা কতটা সুইং পাবেন? তার উপরে অস্ট্রেলিয়ায় খেলা হবে কুকাবুরা বলে। যার সেলাই বা ‘সিম’ খুব একটা চওড়া নয়। তাই ‘সিম’ তাড়াতাড়ি বসে যায়। এর উপরে থাকছে নতুন নিয়ম। লি বলছেন, ‘‘ক্রিকেট খেলার ধরনটাই এ বার বদলে যাবে। এমনিতেই বোলারদের কাজটা শক্ত। সেটা আরও শক্ত করে দেওয়া ঠিক নয়।’’
আরও পড়ুন: ‘আইপিএল-ই বিশ্বের সেরা টি টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা’
যে কারণে ৪৩ বছর বয়সি এই প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করেন, বল পালিশ করার জন্য কোনও কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া উচিত। তবে বল বিকৃতি আইনসিদ্ধ করার ব্যাপারে একদমই সায় নেই বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের। লি বলেছেন, ‘‘নতুন বল আরও চকচকে রাখতে আর পুরনো বলে রিভার্স সুইং পাওয়ার জন্য থুতু ব্যবহার করা হয়। তবে ফাস্ট বোলাররা সাধারণত নতুন বলে কম থুতু লাগায়। এখন যে-হেতু থুতু ব্যবহার করা যাবে না, কৃত্রিম পদার্থের সাহায্যে বল পালিশের কথা ভাবা যেতেই পারে।’’