বরিস বেকার। — ফাইল চিত্র।
তথ্য গোপন করে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন বরিস বেকার। অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় ইংল্যান্ডের আদালতের নির্দেশে জেলও খাটতে হয়েছে জার্মানির প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়কে। সেই সংক্রান্ত সব মামলা থেকে এ বার মুক্তি পেলেন বেকার। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা বাতিল করে দিয়েছে ব্রিটিশ আদালত।
ঋণ শোধ না করার জন্য অবৈধ ভাবে নিজের সমস্ত টাকা সরিয়ে ফেলেছিলেন বেকার। প্রায় সব সম্পত্তিও অন্যের নামে করে দিয়েছিলেন। নিজেকে এ ভাবে দেউলিয়া প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন বেকার। তাঁর কারচুপি ধরা পড়ে যাওয়ায় মামলা হয় আদালতে। দোষ প্রমাণিত হয় অভিযুক্ত বেকারের। সম্পত্তি গোপন, কর ফাঁকি, ঋণ পরিশোধ না করা-সহ চারটি অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।
সব দিক খতিয়ে দেখে বিচারক নিকোলাস ব্রিগস তাঁর রায়ে বলেছেন, ঋণ শোধ করার জন্য বেকারের পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল, তিনি সব রকম চেষ্টা করেছেন। তর পরেও ঋণের একটা বড় অংশ তিনি শোধ করতে পারেননি। প্রথম দিকে অসহযোগিতা করলেও পরে বেকার সব রকম সহযোগিতা করেছেন। আইন অনুযায়ী সব রকম পদক্ষেপ করেছেন। শাস্তিও ভোগ করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলি বাতিল না করলে অবিচার হবে।
অভিযুক্ত বেকারকে দু’বছর আগে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে ছ’টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে আদালতের নির্দেশে লন্ডনের জেলেই আট মাস কাটাতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের আদালতের নতুন রায় অবশ্য স্বস্তি দেবে প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়কে।