উইম্বলডন চলাকালীন যৌনমিলনে কড়া হুঁশিয়ারি ফাইল চিত্র
ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন দর্শকরা এক রাতের যৌনমিলন করতে গিয়ে ধরা পড়লে সাত বছরের জেলের সাজা ঘোষণা করেছে কাতার প্রশাসন। এ বার উইম্বলডন চলাকালীন দর্শকদের যৌনমিলন, মাদক পার্টিতে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যৌনমিলন বা মাদক পার্টি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
অল ইংল্যান্ড ক্লাব ও উইম্বলডন পার্ক গলফ ক্লাবের দূরত্ব বেশি নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিযোগিতা চলাকালীন খেলার পর রাতের দিকে দর্শকদের একটা অংশ চলে যায় গলফ ক্লাবে। সেখানে গাছের আড়ালে যৌনমিলন থেকে শুরু করে মাদক পার্টি সব চলে। পার্টি শেষ হতে হতে অনেক সময় সকাল হয়ে যায়। এতে সমস্যা হয় তাঁদের। গলফ ক্লাবের পরিবেশও নষ্ট হয়।
এ বার যাতে এই ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশকে জানানো হয়েছে। উইম্বলডন চলাকালীন পুলিশ গলফ ক্লাব ও তার আশপাশে টহল দেবে। নজর রাখবেন স্থানীয়রাও। এই ধরনের কোনও ঘটনা দেখলেই তাঁরা খবর দেবেন পুলিশে।
গলফ ক্লাবের প্রবেশ পথে নোটিস লাগিয়েছেন স্থানীয়রা। সেখানে লেখা, ‘যে দর্শকরা উইম্বলডন দেখতে আসছেন তাঁরা দয়া করে আমাদের পার্ক ও আশপাশের এলাকায় বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়বেন না। যৌনমিলন, মাদক পার্টির মতো অসামাজিক কাজ বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ নজর রাখবে। দয়া করে টেনিস উপভোগ করুন।’
এই হুঁশিয়ারি দর্শকরা কতটা মানবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আগেও এই ধরনের নোটিস লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিস ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়ে উইম্বলডন চলাকালীন দু’সপ্তাহ গলফ ক্লাব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেও দর্শকরা পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েন। কোনও ভাবেই তাঁদের আটকানো যায় না। এ বার পুলিশি টহলের বন্দোবস্ত হওয়ায় কিছুটা হলেও দর্শকদের আটকানো যাবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।