স্মৃতি: তখন একসঙ্গে কলকাতায়। ভাইচুং-বিজয়ন জুটি। ফাইল চিত্র
ভাইচুং ভুটিয়া: শুভ জন্মদিন আই এম বিজয়ন। তোমার ফোন তো পাওয়াই যায় না।
বিজয়ন: ভাইচুং.. কেমন আছো? অসংখ্য ধন্যবাদ। তুমি ফোন করায় আমি খুব খুশি হয়েছি।
ভাইচুং: তোমার বয়স এখন কত হল? শতবর্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছো কি না আগে বলো।
বিজয়ন: হা হা হা...৫১ বছর হল আমার। বাড়ির সকলে ঠিক আছে তো? আচ্ছা ভাই, তুমি কি এখন সিকিমে?
ভাইচুং: আমি এখন শিলিগুড়ির বাড়িতে। সবাই ভাল আছে। জন্মদিন কী ভাবে পালন করলে?
বিজয়ন: এ বার কিছুই করিনি। লকডাউন চলছে তো। বাড়িতেই নাতনির (মেয়ের মেয়ে) সঙ্গে জন্মদিন পালন করলাম।
ভাইচুং: তুমি কি এখনও কেরল পুলিশের হয়ে খেলছো?
বিজয়ন: সে রকম ভাবে নয়। তবে পুলিশ দলের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করছি। লকডাউনের কারণে এখন যদিও মাঠে নামা হচ্ছে না।
ভাইচুং: কেরল পুলিশ দলের কোচ কি তুমি?
বিজয়ন:কোচিং করাচ্ছি না। শুধুই অনুশীলন করছি।
ভাইচুং: তোমাকে কি পুলিশের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে?
বিজয়ন: কেরল পুলিশে সকলকেই কাজ করতে হয়। এই কাজটা আমি দারুণ উপভোগ করি।
ভাইচুং: তোমার অভিনয়ের কী খবর? সিনেমা করছো তো?
বিজয়ন (হাসি): ফুটবল খেলা, পুলিশের দায়িত্ব সামলানো থেকে অভিনয়— সবই চালিয়ে যাচ্ছি। ভাইচুং, আমার স্ত্রী রাজ়ি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে...
ভাইচুং: অবশ্যই... কেমন আছেন?
রাজ়ি: ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন? শিলিগুড়িতে সব ঠিক আছে?
ভাইচুং: সব ঠিক আছে।
রাজ়ি: বাচ্চারা আপনার সঙ্গে?
ভাইচুং: না, বাচ্চারা কলকাতায়। আমি একা শিলিগুড়িতে।
আনন্দবাজার: বিজয়নের জন্য জন্মদিনে স্পেশ্যাল কী রান্না করলেন?
রাজ়ি: চিকেন আর মাছ।
ভাইচুং (হাসি): বিজয়নকে বেশি করে স্যুপ খাওয়ান রাজি।
বিজয়ন: লকডাউনে বেশি কিছু পাওয়া যায় না। বাড়িতে যা ছিল, তা দিয়েই আজ রান্না করেছে রাজি।
আনন্দবাজার: জন্মদিনে আপনাকে কী উপহার দিলেন স্ত্রী?
বিজয়ন: ভাইচুং জানে রাজি আমাকে কী উপহার দিয়েছে!
ভাইচুং (হাসি): বিজয়নের জন্য ইডলি, দোসা, সম্বর বানিয়েছেন রাজি।
আনন্দবাজার: ভবিষ্যতে সিনেমার পর্দায় কি ভাইচুং-বিজয়ন যুগলবন্দি দেখা যাবে?
বিজয়ন (হাসি): অসম্ভব কিছু নয়। তবে ভাইচুং নায়ক হবে। আমি অভিনয় করব খলনায়কের ভূমিকায়।